রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত বন্দির সাজা মওকুফ করেছে সরকার। সোমবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে তারা মুক্তি পেয়েছেন।
কারা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা মোতাবেক সরকার তাদের মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা সর্বনিম্ন ৯ মাস ১৬ দিন থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর ৮ মাস ১৪ দিনের সাজা মওকুফ পেয়েছেন। এরমধ্যে রাজশাহী জেলার তিনজন, নওগাঁর তিনজন ও বগুড়া একজন রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে রাজশাহী কারাগারে ছিলেন।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন—রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামের জামাত আলী, মোহনপুর উপজেলার চুলনিয়াপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেন, জেলার পবা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আকবর আলী। এ ছাড়া নওগাঁ সদরের ডাফাইল গ্রামের মোসলেম হোসেন, একই জেলার পত্নীতলা উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামের বাসুদেব পাহান, সাপাহার উপজেলার কৈবতপাড়া গ্রামের আবু তালেব এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের সংসারদিঘী গ্রামের শহিদুল ইসলাম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দি মুক্তি-সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশক্রমে ১২৫ জন বন্দির মুক্তির প্রস্তাব কারা অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ১২৫ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সরকার ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির জরিমানার টাকা পরিশোধের শর্তে সাজা মওকুফ করে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, সাত বন্দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই সাতজনের সাজার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। তাদের কিছু জরিমানা ছিল। সরকারি আদেশ আসার পর পরই তাদের জরিমানার টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তাদের মুক্তির পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
কেএন/টিকে/টিএ