বিয়ে হবে নয়তো জীবন দিবো এমন হুমকি দিয়ে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট পৌরসভায় প্রেমিকের বাড়িতে বিষের বোতল নিয়ে অনশন করছেন এক তরুণী।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনশন শুরু করেন তিনি। অন্যদিকে প্রেমিকার আসার খবর টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিক তাপস দাশ। এই নিয়ে পুরো এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে থানা পুলিশ এমনকি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়ালেও কোনো সমাধান হয়নি।
অনশনরত তরুণী জানান, গোসাইরহাট পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড দীপুর গ্রামের মরন দাশের ছেলে এনজিওকর্মী তাপস দাশের বাড়িতে অনশন বসেছেন ওই তরুণী। মরন দাশের ছেলে তাপস দাশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন ওই তরুণী। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসের স্বামী-স্ত্রীর মত সময়ও কাটিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় ওই তরুণী তাপস ও তার বাবা-মাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে দিয়েছেন। এদিকে অনশনে বসার পর বাড়ি থেকে তাপসের বাবা ও মাসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। এখন বিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার কাছে।
তিনি আরও জানান, ধর্মীয় উপাসনালয়ে পরিচয় হয় তাপস দাশের সঙ্গে, পরে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়িতে বসে মৃৎশিল্পের কাজ করে তরুণী যা উপার্জন করতেন মাস শেষে সবটাই তিনি নিয়ে আসতেন। একাধিকবার গোপন প্রণয়ে লিপ্ত হয়েছেন তারা। সম্পত্তির কয়েক মাস হয় বেকে বসেন তাপস। নানা তাল বাহানা করে ওই তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এমনকি মোবাইল নাম্বার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে প্রেমিকাকে ব্লক করে দেন তাপস। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে এক পর্যায় তাপসের বাড়িতে এসে ওঠেন ওই তরুণী। আর সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজেদের প্রেম প্রণয়ের প্রমাণ।
এ বিষয়ে জানতে তাপস দাশের মোবাইলফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, অনশনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। ওই তরুণী সকাল থেকে তাপসের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। আমাকে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
পিএ/টিএ