রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করলেই ৫০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রে

রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মার্কিন কংগ্রেসে বিল পেশ করেছিলেন আগেই। মঙ্গলবার সেই বিলকে সমর্থন জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বিলে বলা হয়েছে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কোনও দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে, তবে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে ৫০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে।

বিলের নিশানাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেনেটর গ্রাহাম। তিনি বলেন, ‘‘যদি আপনি রাশিয়া থেকে পণ্য কিনে থাকেন, তা হলে আমেরিকায় আসা আপনার পণ্যের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’’ এর পরেই তার মন্তব্য, ‘‘রাশিয়া থেকে ভারত এবং চিন ৭০ শতাংশ তেল কেনে। তারা ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধকে সচল রেখেছে।” রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখলে বেজিং এবং নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও বার্তা দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, এই বিল অনুমোদিত হলে তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতিতে।

ঘটনাচক্রে, দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে গত সপ্তাহেই চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করেছে আমেরিকা। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি রূপায়ণের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন ট্রাম্প সরকারের প্রতিনিধিরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নীতিগত দূরত্ব ভুলে গ্রাহামের আনা ‘স্যাংশনিং রাশিয়া অ্যাক্ট, ২০২৫ বিল’-কে সমর্থন জানিয়েছে বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবিরও। ডেমোক্র্যাট সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বিলের অন্যতম প্রস্তাবক। তার যুক্তি, ‘‘ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলা ঠেকানোর জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন।’’

এখনও পর্যন্ত ১০০ সদস্যের মার্কিন সেনেটের ৮৪ জন সদস্য বিলকে সমর্থন করেছেন বলে গ্রাহামের দাবি। গত মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, ভারত দৈনিক রাশিয়া থেকে ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল।

জুন মাসে তা দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেল ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পরে যা একটি নজির। ভারত ও চিন একসঙ্গে তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে। গ্রাহামের যুক্তি, সেই আমদানি রুখতে পারলেই রাশিয়ার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। যার পরিণামে ইউক্রেনে রুশ ফৌজের হামলা স্তিমিত হয়ে পড়বে।

কেএন/এসএন





Share this news on:

সর্বশেষ

img
ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন জামায়াত প্রার্থীর Nov 10, 2025
img
ইসরায়েলের বিষয়ে নিজেদের শর্ত আরও কঠোর করল সৌদি আরব Nov 10, 2025
img
মুম্বাইয়ে নেহা কক্করের নাম করে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ Nov 10, 2025
img
শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ Nov 10, 2025
img
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্ট Nov 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে আবারও হামলা চালাল ইসরায়েল Nov 10, 2025
img

ভিডিও ভাইরাল

শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের ‘স্ত্রী’ বলে বিতর্কে বিএনপি নেতা Nov 10, 2025
img
অক্টোবরে প্রায় ২০৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি Nov 10, 2025
img
আজ মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ, কমতে পারে তাপমাত্রা Nov 10, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি কেন ভয় পাব : জেলেনস্কি Nov 10, 2025
img
ক্যাটরিনার মাতৃত্ব নিয়ে সালমানের মন্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি Nov 10, 2025
img
নতুন নিয়মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি Nov 10, 2025
img
হাবিবুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 10, 2025
img
আজ দিনাজপুরে দুদকের ১৯০তম গণশুনানি Nov 10, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা Nov 10, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না: দুলু Nov 10, 2025
img
আমরা আজ কলি হয়ে আছি, একদিন ফুটবই : নাহিদ ইসলাম Nov 10, 2025
img
সোনাক্ষী সিনহার সম্পদের পরিমাণ কত? Nov 10, 2025
img
বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ Nov 10, 2025
img
জিমের পরের যে ভুলে হতে পারে বড় বিপদ! Nov 10, 2025