কালসাপ আওয়ামী লীগ ছোবল দেবেই, বিশ্বাস করবেন না : রিফাত রশিদ

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের কালসাপ বলে মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ বলেছেন, কালসাপ যতই সুন্দরভাবে সাজুক, যতই নতুন রূপ ধারণ করুক। কালসাপের নেচার সে ফনা তুলবে, সে ছোবল দেবেই।

শুক্রবার (৪ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিফাত রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগ যতবারই সুযোগ পেয়েছে ততবারই বাংলাদেশের মানুষদের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের মাঝে ছোবল সৃষ্টি করেছে।

তাই বলব যারা আওয়ামী পনা হয়েছে, মুজিববাদ যাদের রক্তে তাদেরকে আপনারা বিশ্বাস করবেন না। তাদেরকে আপনারা ধারণ করবেন না।

নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই। যদি কেউ মনে করে যে সংস্কারবিহীন একটি নির্বাচন দিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের ছাত্রজনতা এটি প্রতিরোধ করবে। এবং সেই সাথে আরো একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই। আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দলকে দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন ধরনের বিশাল বিশাল সংস্কারের প্যাকেজ নিয়ে তারা যাচ্ছে।

আমরা এটাও বলতে চাই সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যে রকম সত্য সেইভাবে মৌলিক সংস্কার ব্যতিত আমাদের একটি নতুন করে সংসদে যাওয়া নতুন করে একটি নির্বাচন হওয়ারও কোন প্রকার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, মৌলিক সংস্কারের প্রতি জিরো টলারেন্স স্থিতি গ্রহণ করা হবে। মৌলিক সংস্কার ব্যতিত আগামীর যে নির্বাচন সেটি কখনো বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।

রিফাত রশিদ বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পরে এখনও ময়নাতদন্ত করে গণকবরের লাশগুলো পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমলের পুলিশ বর্তমানে শেখ হাসিনার সময়কার পুলিশের মতো আচরণ করছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য দেখা করা হবে। চট্টগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান ও আন্দোলন শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিফাত রশিদ।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রোববার ঢাকায় বড় জমায়েতের ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের Oct 11, 2025
img
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে টাকা দাবির অডিও ফাঁস Oct 11, 2025
img
১০০ রানে হারের কারণ জানালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক Oct 11, 2025
img
গুম কমিশনের প্রত‍্যেক সদস‍্যের কাছে এই জাতি ঋণী থাকবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা Oct 11, 2025
img
আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস Oct 11, 2025
img
সোমবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস: ট্রাম্প Oct 11, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১১ অক্টোবর) Oct 11, 2025
img
আজ ঢাকায় জরুরি সভা ডেকেছে জাতীয় পার্টি Oct 11, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত Oct 11, 2025
img
চাঁদা না পেয়ে ফার্মেসিতে আগুন, ক্ষয়ক্ষতি ৩৫ লক্ষ টাকার Oct 11, 2025
img
বিশেষ ট্রাভেল পাস নিয়ে সুখবর দিল মালয়েশিয়া Oct 11, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে আজ Oct 11, 2025
img
দিল্লির-লাহোরের চেয়ে ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি Oct 11, 2025
img
নিজেকে বিশ্বসেরা ভাবা নয়, সবাই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোর কথাই ভাবুক: আনচেলত্তি Oct 11, 2025
img
অ্যাঞ্জেলিনা নয়, ব্র্যাড পিটের সঙ্গী এখন ইনেস! Oct 11, 2025
img
মেক্সিকোতে বন্যায় ২৩ জনের প্রাণহানি Oct 11, 2025
img
দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত! Oct 11, 2025
img
আমি খুশি, কারণ লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি: ট্রাম্প Oct 11, 2025
img
শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া কানারো মাচাদোর ‘কালো দিক’ Oct 11, 2025
img
দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ Oct 11, 2025