টেক্সাসের মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। জীবিতদের সন্ধানে শত শত উদ্ধারকর্মী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, সামার ক্যাম্পের ২৭ জন শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
কাউন্টি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে, এবং চলতে থাকবে, যতক্ষণ না সকলকে খুঁজে পাওয়া যায়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুয়াদালুপ নদীর তীরে সামার ক্যাম্পে থাকা ২৭ শিশুর এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের সন্ধানে জোরালো অভিযান চলছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে, সামাজিকমাধ্যমে কয়েকজন অভিভাবক তাদের শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এখন পর্যন্ত বন্যার কবলে পড়া প্রায় ৮৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মধ্য টেক্সাসে একাধিক আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি রয়েছে।
শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেন, ‘অনুসন্ধান প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য তিনি একটি বর্ধিত দুর্যোগ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার শিকার প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করবেন। কাজ শেষ হলে আমরা থামবো।’
তারা জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা গুয়াদালুপ নদীর তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং বন্যায় ভেসে যাওয়া লোকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তার প্রশাসন জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
শুক্রবার ভোরে মধ্য টেক্সাসের কিছু অংশে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এরপর সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করেন কর্মীরা।
নিখোঁজদের সন্ধানে রাতেও অভিযান অব্যাহত রাখা হয়ে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য টেক্সাসে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার, ড্রোন, নৌকা এবং অসংখ্য কর্মী অংশ নিয়েছেন।
আরআর/টিএ