ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা: শাস্তি পেলেন মার্কিন ৬ গোয়েন্দা কর্মকর্তা

গত বছর নির্বাচনী প্রচারণাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে দায়িত্বরত ওই কর্মকর্তারা ১০ থেকে ৪২ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। খবর রয়টার্সের।

সাজাপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাদের পরিচয় বা বরখাস্ত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

গত বছর ১৩ জুলাই পেনসিলভিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে হামলার শিকার হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিতে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। সে সময় নিকটবর্তী এক ভবনের ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।

হামলাকারীর গুলিতে ট্রাম্প ও তার আশেপাশের কয়েকজন আহত এবং এক সমর্থক নিহত হয়েছিলেন। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীও নিহত হন। ওই ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসে একাধিক তদন্ত শুরু হয় এবং সংস্থাটির পরিচালক পদত্যাগ করেন।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, স্থানীয় পুলিশকে তাদের যোগাযোগব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত না করে ভুল করেছিল সিক্রেট সার্ভিস। আর ওই ভবনের ছাদে কাউকে পাহারায় না রাখা ছিল আরেকটি ভুল। তো, একাধিক ভুল হয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল না।

ওই জনসভা চলাকালীন ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শন কুরান বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য বহু পদক্ষেপ নিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। কংগ্রেশনাল ওভারসাইট বডির তরফ থেকে পেশকৃত ৪৬টির মধ্যে ২১টি পরামর্শই ইতোমধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে। আরও ১৬টি প্রক্রিয়াধীন আছে। বাকি ৯টি তাদের জন্য নয়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ট্রাম্পের গলফ কোর্সেও নিরাপত্তা জোরদারে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পেনসিলভিনিয়া ঘটনার কয়েকদিন পরই আরেকবার প্রাণহানির হুমকির মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নিজ মালিকানাধীন গলফ কোর্সে অবকাশযাপনে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।

কোর্সের কাছ থেকে ট্রাম্পের হত্যার উদ্দেশ্যে লুকিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে বন্দুকসহ আটক করা হয় সে সময়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় Sep 15, 2025
img

‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Sep 15, 2025
img
এক বিড়ালই স্বরা-ফাহাদকে নিয়ে যায় বিয়ের পিঁড়িতে! Sep 15, 2025
img
ভারত থেকে ২০০ নতুন কোচ কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে Sep 15, 2025
img
ডাকসুর পর জাকসুতেও জিতল এক দম্পতি Sep 15, 2025
img
১৫ বছর বয়সে ইতিহাস গড়লেন ওয়েন কুপার Sep 15, 2025
img
ভাঙ্গায় যান চলাচল স্বাভাবিক, রাস্তার পাশে আন্দোলনকারীদের অবস্থান Sep 15, 2025
img
টিকটক নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান, ফলাফল নির্ভর করছে চীনের ওপর: ট্রাম্প Sep 15, 2025
img
রাকসু হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন নির্বাচিত Sep 15, 2025
img
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ সেপ্টেম্বর) Sep 15, 2025
img
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ান সরকারের পদত্যাগ দাবি Sep 15, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে প্রথম রিলিজ স্লিপের ফল প্রকাশ বিকেলে Sep 15, 2025
img
ন্যাটো জোটের মতো সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চায় মিশর Sep 15, 2025
img
ইসলামি দেশগুলোকে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের Sep 15, 2025
img
বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা Sep 15, 2025
img
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে ১১৫৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ-পাচার’ Sep 15, 2025
img
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার নদীর পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট Sep 15, 2025
img
কাতার ইস্যুতে ইসরাইলকে খুব সতর্ক হতে হবে, বললেন ট্রাম্প Sep 15, 2025
img
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার Sep 15, 2025
img
ভ্যালেন্সিয়াকে ৬-০ গোলে বি-ধ্ব-স্ত করলো বার্সা Sep 15, 2025