যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় অংশ নিতে যে সব শর্ত দিল ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় অংশ নিতে নতুন শর্ত দিয়েছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পুনরায় আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক হামলা থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এ শর্তের কথা জানিয়েছেন।

ফরাসি দৈনিক লে মঁদ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাগচি জানান, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ আলোচনার পথ রুদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে এবং তাদের আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি জানান, কূটনৈতিক যোগাযোগ সব সময়ই চলমান ছিল এবং এখন কিছু বন্ধু রাষ্ট্র বা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে একটি হটলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু কূটনীতি একমুখী হতে পারে না।

আরাগচি বলেন, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলা ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে। এসব ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করার অধিকার রাখি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হয়। এতে এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি শুধু স্থাপনার বিষয় নয়, বরং একটি জাতির অদম্য ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ।

তিনি পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করে বলেন, আইএইএর অধীনে পরিচালিত স্থাপনার ওপর হামলা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর নীরবতা আন্তর্জাতিক আইনের উপর সরাসরি আঘাত।

ইউরোপের তিন দেশের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অধীনে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপের হুমকি সম্পর্কে আরাকচি বলেন, এটি কার্যত একটি সামরিক আক্রমণের সমতুল্য এবং ইউরোপের কূটনৈতিক ভূমিকা পুরোপুরি হারাবে।

আরাগচি বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র চায় না এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ফতোয়া অনুযায়ী গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি, মজুত বা ব্যবহারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

এমআর/এসএন    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সারা দেশে বিশেষ অভিযানে ১৬৪১ জন গ্রেফতার Jul 18, 2025
img
আমাদের সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম Jul 18, 2025
img
পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে ইরানের আকাশসীমা Jul 18, 2025
img
চার-ছক্কার ঝড়ে কক্সের রেকর্ড সেঞ্চুরি! Jul 18, 2025
img
‘বাগি ৪’-এ এবার থাকবে সোনম বাজওয়া Jul 18, 2025
যে কারণে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা! Jul 18, 2025
img
প্রখ্যাত অভিনেতা ভেলু প্রভাকরণ আর নেই Jul 18, 2025
img
"দশ বছরেও ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দর্শকের মনে দাগ কাটে" Jul 18, 2025
‘আমি যে রোডম্যাপ দিয়েছি, তা শুধু ঘোষণাপত্রই নয়, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত’ Jul 18, 2025
img
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাকে সাইকেল উপহার দিয়েছিলেন : রিনা খান Jul 18, 2025
img
বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে পারবে না মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা- হোয়াইট হাউজের আদেশ জারি Jul 18, 2025
img
গ্রিসের সৈকতে লুঙ্গিতে বেবোর নতুন রূপ Jul 18, 2025
img
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান আমিনুলের Jul 18, 2025
img
নির্বাচনে ভোটদানের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ বছর করছে যুক্তরাজ্য Jul 18, 2025
img
রাত পোহাতেই কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সিড-কিয়ারা Jul 18, 2025
img
ষড়যন্ত্র করে চোরাই পথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে, জণগণ তা মানবে না : এ জেড এম জাহিদ Jul 18, 2025
img
মুখোমুখি নয়, তবু চিরকালীন লড়াইয়ে নয়নতারা ও তৃষা Jul 18, 2025
img
কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী? Jul 18, 2025
img
‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র সিক্যুয়েল নয়, বললেন ফারহান Jul 18, 2025
img
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় আমরা দ্বিগুন শক্তিশালী হয়েছি: নাহিদ ইসলাম Jul 18, 2025