মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি কি বলেছে তাদেরকে কোনো প্রটেকশন দিয়েছে—সেটা তো করেনি বরং অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনায়। যদি শেখ হাসিনার মতো একেকটা মাফিয়া, একটা দুর্বৃত্ত—সে শামীম ওসমান হোক, সে মাদক ব্যবসায়ী বদি হোক, সে নাটরের শিমুল হোক, ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এমপি যাদেরকে পার্লামেন্টের মধ্যে শেখ হাসিনা প্রটেকশন দিয়েছে, তাদের পক্ষে কথা বলেছে। বিএনপি থেকে কেউ সুযোগ পায়নি, তাদেরকে কেউ কোনভাবে আশকারা পায়নি বরং বারবার প্রশাসনকে আমরা বলেছি আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে, যে অন্যায় করেছে তাকে গ্রেপ্তার করা, আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে গুলশানে হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের অমর শহীদদের স্মরণে’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটু ভিন্ন ধরনের ঘটনা, যে ঘটনা আমরা হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখলাম। পাথর দিয়ে কিভাবে আপনার লাশের ওপর আঘাত করেছে। যেকোনো বিবেকবান মানুষ যার হৃদয়ের মধ্যে মানবতাবোধ নূন্যতম আছে।
তার হৃদয় কে কাঁদাবে। তার চোখে অশ্রু নয়, তার হৃদয়ের মধ্যে অশ্রু ঝরবে।
তিনি বলেন, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, এলাকার মধ্যে আধিপত্য, পদ নিয়ে মারামারি, যেখানে বাংলাদেশের যা ঘটছে—সেটি রাত্রি ১০ টা হোক ১১টা হোক ১২ টা হোক একটা-দেড়টা যখনই আসছে, মোবাইল বেজে উঠলেই আমরা চমকে উঠি যে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব টেলিফোন করেছে কি না, হ্যাঁ টেলিফোনে দেখি উনার টেলিফোন, উনি নাম পাঠাচ্ছেন অমুক জায়গায়, আমরা হয়তো তখন ঘুমিয়ে গেছি কিন্তু তিনি ঠিকই সংবাদ পাচ্ছেন বাংলাদেশের কোন থানায়, কোন এলাকায়, কোন ইউনিয়নে—কারা সংঘাতের সঙ্গে জড়িত, কারা সহিংস সন্ত্রাস করছেন, দলের লোক প্রথমেই তিনি তাদের ধরছেন এবং সেটাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছেন। কেউ বহিষ্কার হচ্ছেন, কারো পদ স্থগিত করা হচ্ছে, কাউকে নানাভাবে শাস্তির আওতায় নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিদিন ঘটনা হচ্ছে। আমার জানা মতে বিএনপি জেলা উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত সাত হাজারের কাছাকাছি নেতাকর্মী— বিভিন্ন পর্যায়ের তাদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অঙ্গ সংগঠনগুলো তারা প্রতিনিয়ত এই ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনায় কেবল আমি যুবদল ছাত্রদলের সঙ্গে কথা বলছি। নাসিরের সাথে কথা বলছি।
মুন্নার সাথে কথা বলছি যে কি ব্যা পার এই ঘটনা কি করছো তোমরা? তারা ইতিমধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মেসেজ পেয়ে গেছেন এবং তারা বহিষ্কার করে দিয়েছেন। অলরেডি তারা আজীবন বহিষ্কার। এই ঘটনাগুলো বিএনপি থেমে নেই, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে—দলের অভ্যন্তরে হোক অথবা সাধারণ মানুষের ওপরে হোক সেই ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি, কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।
টিকে/