জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম আজ আর কোনো নির্বাচনী ভাগ-বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না। তারা চায় রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের বাস্তবায়ন।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে বাগেরহাট রেল রোডে ‘দেশ গড়তে জুলাই’ পদযাত্রা কর্মসূচির ১২তম দিনে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং মাফিয়া ও চাঁদাবাজ নির্ভর পুরোনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারা চাঁদাবাজি, মাফিয়া সিস্টেম ও দুর্নীতির রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, জনগণ তাদের আর মেনে নেবে না। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে কেন নামছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররা আবারও রাজপথে নামছে—আপনারা কি তা দেখছেন না?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম এই মাফিয়া-চাঁদাবাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এখনও তা সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করতে পারিনি। তাই আবার এসেছি, আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। শহীদদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার লক্ষে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করব। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন অবশ্যই হতে হবে, এই জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যেই।’
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। যদি দলবাজ প্রশাসনের মতো আচরণ করা হয়, তাহলে মনে রাখবেন, ফ্যাসিবাদের যুগে যারা দলবাজি করেছিল, তাদের পরিণতি আপনাদেরও হতে পারে।’
এদিন জনসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আবিদ ও বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারী সৈয়দ মোরশেদ আনোয়ার প্রমুখ।
এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় নেতা ড. মাহমুদা মিতু, মোল্যা রহমাতুল্লাহ, তাজনুভা জাবিন, অ্যাডভোকেট আল আমিন ও জান্নাতুল বাকিও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এনসিপি নেতারা শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিকেলে রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে পথসভায়ও অংশ নেন নেতারা। দিন শেষে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনের পর মিছিল শেষে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে বাগেরহাট ত্যাগ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এমআর/টিকে