নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক পৃথক মামলায় লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, একই উপজেলার সাবেক ও বর্তমান তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৫ জন নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক পৃথক আদেশে এসব নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠান। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনার অভিযোগে জেলার ৪টি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া থানায় ৩টি করে এবং নড়াগাতী থানায় ২টি মামলাসহ মোট ১১টি মামলা করা হয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এসব মামলায় লোহাগড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়জুর হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম নূর মোহাম্মদ, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার ফকিরসহ মোট ৩৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অগ্রিম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
রোববার নড়াইলের আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত ৩৫ নেতাকর্মীরা নিম্ন আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগারের আদালতে ৩০ নেতাকর্মী ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসানের আদালতে ৫ জন জামিন আবেদন করেন। উভয় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরআর