শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দুই মাদরাসাছাত্র নিহত হয়। পরে আহত ছাত্র ফায়জুর আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- বড় রাংটিয়া গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে মো. সাকিবুল (৯), মো. জহুরুল মিয়ার ছেলে মো. জাকারিয়া (১০) ও মো. সাইব আলীর ছেলে ফায়জুর আমিন (৯)। হতাহতরা সবাই রাংটিয়া মারকাযুত ত্বাকওয়া মাদরাসা হেফজ বিভাগের ছাত্র। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাদরাসা থেকে হেঁটে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল মাদরাসাছাত্র সাকিবুল, জাকারিয়া ও আমিন। পথিমধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া এলাকায় পৌঁছালে বরযাত্রী বোঝাই একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তিন মাদরাসা ছাত্রকে চাপা দেয়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবুল ও জাকারিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটাল থেকে ঢাকায় নেওয়া পথে ফায়জুর আমিনেরও মৃত্যু হয়।
জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. আনিকা আফরিন প্রমা বলেন, দুই শিশু হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন বলেন, ঘটনা ঘটার পর সন্ধ্যায় শেরপুর সদর হসপিটালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
অপর জন ফায়জুর আমিনকে প্রথম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া পথে ফায়জুর আমিনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ঘাতক মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালক ছাইদুরকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর/টিকে