জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন কম্প্রোমাইজ করতে শিখে গেছে। মৌলিক সংস্কারের জন্য যে কাজগুলো করার দরকার ছিল সেসব কাজ ঠিকমতো করছে না, আমাদেরকে নজরে রাখা দরকার।
তিনি বলেন, ভোলায় ৫৭ জন শহীদ পরিবার আছে তাদের দেখভালের দায়িত্ব জুলাই ফাউন্ডেশন নেয়নি। শহীদ পরিবার ও আহতদের দেখভালের জন্য জুলাই ফাউন্ডেশন কোনো কাজ করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথেষ্ট কাজ করেনি। আমাদেরকে নতুন করে সরকার বানাতে হবে, জনগণের সরকার বানাতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার' ১৫তম দিনে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা শারমিন বলেন, নিজের দলের কর্মী-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইপ্সিতার জন্য আমাদের যে মর্মবেদনা আছে সে মর্মবেদনা বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যেও নেই। সেই ঘটনার পর আরও একটি ঘটনা ঘটেছে, এই ভোলাকে আমরা ধর্ষক, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের আস্তানা হতে দেবো না। আপনারা এমন সংগ্রাম গড়ে তুলবেন, যেটা ৩-৫ তারিখ গড়ে তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, আপনারা এক দিন সময় নিয়েছিলেন ফ্যাসিস্টকে দূর করতে। এখানে এখনও নব্য ফ্যাসিস্ট আছে, নব্য ফ্যাসিস্টদের দূর করার কাজ হাতে নেওয়ার পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের দল এনসিপির সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ ছাড়া এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনীম জারাসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পথসভায় বক্তব্য দেন শহীদ হাসানের বাবা মনির হোসেন।
এর আগে, এদিন দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা জেলা পরিষদ চত্বর থেকে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি জেলা শহরের বাংলাস্কুল মোড় ঘুরে বরিশাল দালান হয়ে নতুন বাজার হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এসএন