বাংলাদেশের কারণেই প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি: মিয়ানমার

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম দ্বিতীয় দফাও ব্যর্থ হওয়ার জন্য বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছে মিয়ানমার সরকার। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, রোহিঙ্গাদের যাচাই বাছাইয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সঠিক কাগজপত্র দিতে না পারার কারণে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

অথচ প্রত্যাবাসনের তৎপরতা শুরু হলে মিয়ানমারে নাগরিকত্ব, স্বাধীনভাবে চলার নিরাপত্তা, ফেলে আসা সম্পত্তি ফেরত ও নিরাপত্তা নজরদারির শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা।

২২ আগস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছা ও নানা শর্তের মুখে তা ভেস্তে যায়।

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৪০০ হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করা হলেও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করে বলেও দাবি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশ নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত নয় মিয়ানমার সরকার। উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের ফেরার অনুকূলে নয়।

‘রোহিঙ্গারা যাতে ফিরতে পারে আগে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক জীবনমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে তবেই তারা ফিরতে পারবে। রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের। রোহিঙ্গারা যখন ফিরে যাবে তারা যেন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সে পরিবেশও গড়ে তুলতে হবে’ –বলেন জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ক কেনিউট অস্টবাই।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: