রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে ঢুকতেই দিল না পুলিশ

কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের দমন নীতির শুরু থেকেই ঘোর বিরোধী ছিল ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। এরই জেরে অধিকৃত কাশ্মীর সফরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে সেখানে তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি নরেন্দ্র মোদির সরকার। শনিবার রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী শিবিরের ১১ নেতা শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালেও সেখান থেকে তাদের দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিরোধী নেতাদের নিয়ে সকালে রাহুল গান্ধী দিল্লি থেকে অধিকৃত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হন। তবে স্থানীয় প্রশাসন শুরু থেকেও তাদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে না এমন ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল।

কাশ্মীর সফরে যাওয়া সর্বদলীয় প্রতিনিধির মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই (এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে’র সদস্যরা ছিলেন।

সফরে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মাও গিয়েছিলেন।এর আগে গুলাম নবী আজাদ দুইবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেন।

জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য এবং জনসংযোগ অধিদপ্তর এক টুইটে জানায়, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে যখন সরকার কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষায় চেষ্টা করছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা সেখানে সফরে গেলে অন্যান্য লোকজন অসুবিধায় পড়ে যাবেন।

এর আগে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করে বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে গভর্নর মালিক বলেন, রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। যা আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এখানে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।

শনিবার সকালে গুলাম নবী আজাদ বলেন, আমরা সব দায়িত্বশীল দল ও তাদের নেতারা কোনো আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।গত ২০ দিন ধরে সেখানে অচলাবস্থা চলছে। সরকার বলছে-পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু তারা কোনো রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না।

এই কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন,এতে কোনো বৈপরীত্য নেই? যদি কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তবে আমাদের সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না কেন?

 

টাইমস/এমএস/এসআই

Share this news on: