প্রায় দুই যুগ পর আগামী শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রথম সমাবেশের বৃহৎ প্রস্তুতি দলটির।জোরেশোরেই চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। জনস্বার্থে সড়ক ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানালেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,
সমাবেশের কারণে কিছুটা দুর্ভোগ হতে পারে। নগরবাসীর কাছে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। জনস্বার্থে সড়ক ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বেছে নিয়েছি, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নের্তৃবৃন্দের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, গোপালগঞ্জে যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জামায়াতে ইসলামী যে কোনো ফ্যাসিবাদকে রুখে দেবে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে জাতীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
তিনি জানান, জাতীয় সমাবেশ সফল করার জন্য ৮টি অনুবিভাগ গঠন করা হয়েছে। ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। ৬ হাজার সেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন ২০টি পয়েন্টে। ১৫টি মেডিকেল বুথ থাকবে, প্রতি বুথে ২ জন্য করে চিকিৎসক থাকবেন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের উদ্দেশ্য, প্রস্তুতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়েইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করে নির্বাচনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি সমাবেশ থেকে উত্থাপনের কথা জানান তিনি।
পিএ/এসএন