মহাকাব্যিক আবহ, রাজকীয় চরিত্র আর এক অভূতপূর্ব প্রস্তুতির সাক্ষী হতে চলেছে দর্শকরা, যখন ২৪ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘হরি হরা বীর মাল্লু’। আর এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘পঞ্চমী’ হয়ে বড় পর্দায় ধরা দিতে চলেছেন নিধি আগরওয়াল, যিনি এই ভূমিকাকে নিজ কর্মজীবনের মোড় ঘোরানো অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছেন।
'পঞ্চমী' কেবল একটি রাজকন্যা নয়, তিনি দৃঢ়চেতা, মার্জিত এবং জটিল। এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে নিধির প্রতিটি প্রস্তুতিই ছিল নিখুঁত। কখনও ঘোড়ায় চড়া শিখতে হয়েছে, কখনও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলেছে ভরতনাট্যমের মহড়া। শুধু অভিনয় নয়, প্রতিটি পোশাক, অলংকার, এমনকি শাড়ির ভাঁজ পর্যন্ত নিধি নিজে খেয়াল করেছেন। তাঁর ভাষায়, “প্রত্যেকটা অলংকার, প্রতিটি ভাঁজের মধ্যে পঞ্চমীর আত্মা লুকিয়ে আছে। তিনি শুধু রাজকীয় নন, তিনি সাহসী।”
এই ছবিতে নিধির বিপরীতে রয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার পবন কল্যাণ। তাঁর সঙ্গে কাজ করা নিধির জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। “একটা ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করাই যেন একশোটা ছবির সমান,” বললেন নিধি। ছবিতে নিধির সবচেয়ে বেশি দৃশ্যই পবনের সঙ্গে, যা তাঁকে চরিত্রের গভীরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
‘হরি হরা বীর মাল্লু’ শুধু আরেকটি পিরিয়ড অ্যাকশন ছবি নয়। এটি ইতিহাস আর কল্পনার এক অনন্য মেলবন্ধন। নিধির ভাষায়, “এটা যেন ভারতের 'ইন্ডিয়ানা জোন্স', তবে রাজকীয় আভিজাত্যে ঘেরা।” ছবিটি পরিচালনা করছেন জ্যোতি কৃষ্ণ, আর সংগীতে আছেন অস্কারজয়ী এম. এম. কীরাভাণী।
এই সিনেমা নিধির জন্য যেমন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ ছিল, তেমনি তা হতে যাচ্ছে দর্শকদের জন্য এক ভিজ্যুয়াল ট্রিট। রাজনীতি, ভালোবাসা, যুদ্ধ এবং আত্মত্যাগের গল্প নিয়ে ‘হরি হরা বীর মাল্লু’ দাঁড়াতে চলেছে এই বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা হিসেবে।
পিএ/টিএ