অতীতে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ

আমরা বাহাত্তরের যে মুজিবাদী সংবিধানের বিরুদ্ধে বলে আসছি, সে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (২০ জুন) দুপুরে রাঙ্গামাটিতে পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিলো, যার বড় শিকার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা অশান্তি নানা বিভাজন জিইয়ে রেখে অন্য একটি পক্ষ বারবার সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, আমরা আর এই তৃতীয় পক্ষকে সুবিধা নিতে দেব না।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে, সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমরা নিজেরাই সমাধান করব, অন্যকোনো পক্ষকে সুযোগ নিতে দেব না, এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘বাহাত্তরের যে মুজিববাদী সংবিধানের বিরুদ্ধে বলে আসতেছি; রাঙ্গামাটির নেতা এমএন লারমা বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধীতা করেছিলেন। আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধানকে বাতিল করে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করতে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, ‘নতুন একটি চুক্তি আমরা করব, যেখানে আপনার অধিকার, আমার অধিকারও থাকবে। পাহাড়ে যে অশান্তি, যে বিভেদ বছরের পর বছর জিইয়ে রাখা হয়েছে, সেই অশান্তি ও বিভেদকে দূর করতে হবে।’

বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিভেদ তৈরি করে রাখা হয়েছে, ধর্মনিপেরক্ষতার নামে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। আমরা সব বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে, সব জনগোষ্ঠীকে মর্যাদা দিয়ে একটি সংবিধান রচনা করতে চাই।’

এর আগে দুপুর ১টায় রাঙ্গামাটি পৌঁছে শিল্পকলা একাডেমি থেকে পদযাত্রা শুরু করে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন: জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমীন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ্।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন: নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচঙ্গ্যাসহ নাগরিক পার্টি বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।

এমআর/টিএ      

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে, তারাই এখন বাইরে আছে : সালাউদ্দিন Jul 20, 2025
img
চন্দ্র বরোতের মৃত্যুতে অমিতাভের শেষ শ্রদ্ধা Jul 20, 2025
img
স্মৃতি ধরে রাখা আসলে হৃদয়ের ব্যাপার: মেহের আফরোজ শাওন Jul 20, 2025
img
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিলের দাবি Jul 20, 2025
img
মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় মারামারি, আটক নোবেল Jul 20, 2025
img
একই ব্যক্তি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় বাংলাদেশে কখনও বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয় না: আদিব Jul 20, 2025
img
‘কোল্ডপ্লে’র কনসার্টের স্ক্রিনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, চাকরি গেল সিইও বাইরনের Jul 20, 2025
img
বাড়ির সামনে ক্ষিপ্ত অমিতাভ, খোঁচা শুনে জবাব না দিয়ে হেঁটে গেলেন Jul 20, 2025
img
নতুন মুখ নিয়ে তৈরি ‘সাইয়ারা’র দুই দিনের আয় ৬৫ কোটি Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা Jul 20, 2025
হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠদের যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরের হিড়িক: গার্ডিয়ান Jul 20, 2025
img
এক্সট্রা আর্টিস্ট থেকে নায়িকা, ‘সাইয়ারা’তে আলোচনায় Jul 20, 2025
img
ইসকনের নিরামিষ রেস্তোরাঁয় মাংস খেয়ে সমালোচনার ঝড়, বাদশার পাল্টা জবাব Jul 20, 2025
img
বাংলাদেশের খেলা দেখতে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মির্জা ফখরুল Jul 20, 2025
img
লন্ডনে ছুটি কাটাতে গিয়ে কেন ক্ষিপ্ত হলেন অক্ষয় কুমার? Jul 20, 2025
img
অবশেষে মঞ্চে আসছে অভিনেত্রী নওশাবার ‘আগুনি’ Jul 20, 2025
img
জামায়াত আমিরের বাসায় গেলেন ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা Jul 20, 2025
img
ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় Jul 20, 2025
img
একই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তিন পদে থাকতে সমস্যা দেখছে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন Jul 20, 2025
img
বাংলাদেশে যত ধরনের ডাকাত দেখা যায়, তা বিশ্বে বিরল : পরিকল্পনা উপদেষ্টা Jul 20, 2025