মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে, তারাই এখন বাইরে আছে : সালাউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে, তারাই এখন বাইরে আছে। সেই একই রাজনৈতিক অস্ত্র কি আমরা ব্যবহার করব? আমরা তা করতে পারি না।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আদর্শ পাবলিকেশন আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল: অভ্যুত্থানের অজানা অধ্যায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সালাউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আমরা সবাই স্বাধীনতাকে আপন করে নিয়েছি। এখানে আমরা কোনো বিভক্তি চাই না। কারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল কারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল এই বিভক্তি তো আওয়ামী লীগ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই। সেই ঐক্যটা কিসের? সেই ঐক্যটা হলো জুলাইয়ে ২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য। সেই ঐক্যটাই আমাদের জাতীয় শক্তি এবং সেই ঐক্যকে কাজে লাগিয়েই আমরা সামনের দিনে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করব।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারের স্বাভাবিক পতন হয়নি। কারণ তারা পতনের কোনো পথই রাখে না। যেমনটি শেখ মুজিব করেছিলেন। তাজউদ্দীনের মেয়ে তার বইয়ে লিখেছেন আপনি স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো পথই রাখলেন না। ইতিহাস থেকে স্বৈরাচারীর কন্যা কোনো শিক্ষা নেয়নি।

এ সময়, ৭১ এর চেতনা ব্যাবসার মতো ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান নিয়ে যেন চেতনা ব্যাবসা না হয় এই আহ্বান জানান সালাউদ্দিন আহমদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যতদিন রক্তাক্ত ইতিহাস লেখা থাকবে ততদিন শহীদ আবু সাঈদের নাম জ্বল জ্বল করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুর রাহমান।

প্রসঙ্গত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খানের লেখা বই যা আজকের এই অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চট্টগ্রামে পদযাত্রার সমাবেশ শেষে এনসিপির দু'পক্ষের হাতাহাতি Jul 21, 2025
img
এএফসির নিয়ম ভেঙে শাস্তি পেলো বাফুফে Jul 21, 2025
img
অন্ত্রের প্রদাহ ও পানিশূন্যতায় ভুগছেন নেতানিয়াহু Jul 21, 2025
img
‘ওরা হয়ত মানিয়ে নিতে পারেনি’ হেসনের সমালোচনার জবাবে ইমনের মন্তব্য Jul 21, 2025
img
বাংলাদেশে আপনি খুব একটা ভালো উইকেট পাবেন না : ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক Jul 21, 2025
img
যদি কখনও জেলে যাই, উঁচু কমোড কি পাব: প্রেস সচিব Jul 21, 2025
img
চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ায় সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জামায়াত আমিরের Jul 21, 2025
img
মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ Jul 20, 2025
img
রাজবাড়ীতে হেলিকপ্টারে চড়ে ইমামের রাজসিক বিয়ে Jul 20, 2025
img
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে মির্জা ফখরুলের মন্তব্য Jul 20, 2025
img
জিম্বাবুয়ের হ্যাটট্রিক হার, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়, টাইগারদের অভিনন্দন জানাল আসিফ মাহমুদ Jul 20, 2025
img
‘ডিজিটাল সুবিধা নাগরিক সেবা কেন্দ্রের আওতায় আনা হচ্ছে’ Jul 20, 2025
img
টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক পলিসির খসড়া পর্যালোচনায় কমিটি গঠন Jul 20, 2025
img
ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকারকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়াচ্ছে লিভারপুল! Jul 20, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার বাংলাদেশি Jul 20, 2025
img
রাবণের চোখে রামায়ণ, স্বপ্নের ছবির কথা জানালেন মানচু বিষ্ণু Jul 20, 2025
img
স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে বিভেদ তৈরি করতে চাই না : সালাহউদ্দিন Jul 20, 2025
img
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ Jul 20, 2025
img
রাজপথে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ এখন সময়ের অপেক্ষা : গোলাম মাওলা রনি Jul 20, 2025