জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারদের জন্য বিএনপি ফান্ড তৈরি করবে বলে জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকালও (শনিবার) বলেছি আজকেও বলেছি নির্বাচন হবেই। নির্বাচনে কে দায়িত্ব পাবে বা না পাবে সেটা পরের কথা। আজকেই আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব দলের পক্ষ থেকে একটা ফান্ড করব। যাতে আহত ও শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা যায়। ইতোমধ্য আমাদের ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ থেকে জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ও আমরা বিএনপি পরিবার। এ সময় প্রত্যক শহীদের নামে মাজার প্রাঙ্গণে একটি করে নিমগাছ লাগানো হয়।
জুলাই আন্দোলনে এক শহীদের মায়ের আহাজারির কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে ছেলেটাকে দেখে আমি স্বপ্ন দেখেছি- আমার পরিবার স্বপ্ন দেখেছে আমার ভবিষ্যতের। সে ছেলেটাকে ওরা কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে এক মর্মান্তিক ও নিদারুণভাবে। তাকে গুলি করে মেরেছে, পড়ে গিয়েছে তারপর একটি ভ্যানের মধ্য উঠিয়েছে। বেঁচে আছে নাকি মরে গিয়েছে সেটা না দেখে আরো কয়েকটি লাশ উঠিয়েছে। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। চিন্তা করেন একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করেছি একটা স্বাধীন দেশের জন্য। সেই দেশের পুলিশ প্রশাসন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাদের বেতন আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় হয়। তারা আজকে আমার ছেলেকে আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারছে হত্যা করছে! কী নির্মম পাশবিক!
এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিকতার জন্য হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনাকে কোনো দিন ক্ষমা করা যাবে না। হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক। হাসিনা মায়েদের কলঙ্ক। আমাদের প্রথম কাজ হবে এদের বিচার করা। দ্বিতীয় কাজ হবে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। এটা না হলে ভবিষ্যৎ জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
ইউটি/টিএ