বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় বিএনপি কর্মী মামুন খন্দকার হত্যা মামলায় ধানমন্ডি জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম মামুন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাকে হাবিব ক্লিনিক ও পরে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শে গণস্বাস্থ্য থেকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হলে মহাসড়কে আসামিরা অ্যাম্বুলেন্স আটকিয়ে দেয়। ফলে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করতে বাধ্য হয়। ভিকটিম লাইফ সাপোর্টে থাকা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় গত ২২ আগস্ট ভিকটিমের স্ত্রী ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহ হিল কাফিকে আটক করা হয়। এরপর গত ৪ আগস্ট হাজারীবাগে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় কাফির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে সমালোচনা হয়। গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাত হোসেন। পরে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আফতাবনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র্যাব।
কেএন/টিকে