জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুশি করতে পারতেছে না বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কাউকে খুশি করতে পারতেছেন না। ওনাদের ওপর এনসিপি ছাড়া কে হ্যাপি? যে হ্যাপি তার পেছনে আবার বিশাল সৈন্যবাহিনী সবসময় নিয়ে রাখতে হয় তাদের নিরাপত্তার জন্য।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, এনসিপি এত বড় দল, তার নিরাপত্তার দরকার হয় কেন? তাদের জন্য তো জনগণ নিরাপত্তা হইতে পারে? হইতে পারে না। তারা ভয় পায়, তাদেরকে আওয়ামী লীগ পিটাবে, ছাত্রলীগ পিটাবে। ভয় পায় বলেই তো নিরাপত্তা দিছে। যাদেরকে তারা ভয় পাচ্ছে তাদেরকে তো পুলিশ সারাদিন দৌড়াচ্ছে। খালি মিটিং এর সময় না, সব সময়ের জন্যই তাদেরকে দৌড়ায়। তো তারা তাদের জন্য ভীতিকর হয়ে গেছে। আর তারা পুলিশ বহর ছাড়া একটা মিটিং করতে পারে না।
তিনি বলেন, আজ রাঙামাটির একটা ভিডিও দেখলাম, এনসিপির মিটিংয়ে ১৫-২০ জন লোক যাচ্ছে। পেছনে বিশাল বহর। এই যে বহরগুলো যাচ্ছে, এদের পেছনে খরচ আছে না? এদের বেতন আছে না? এদেরকে আমরা বেতন দেই পালার জন্য। এদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। এখন ওরা ছাড়া আর কেউ খুশি নাই। এটাই গভর্মেন্টের রিয়েলিটি।
মাসুদ কামাল বলেন, এই গভমেন্টের ওপর কি বিএনপি খুশি? বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন তো বিএনপি খুশি কিনা? কোনো কোনো পলিটিক্যাল পার্টির নেতারা প্রতিদিন সকালবেলা একটা খোয়ারের মধ্যে ঢুকতেছে। ঢুকে চা বিস্কুট খায়। আর কি আলাপ সালাপ করে বাইরে আসে। বাইরে আসে বলে, আমি অর্ধেক খুশি। কেউ কয়, আংশিক খুশি। কেউ কয়, একদমই খুশি না। এগুলো বলে তারা সংস্কার করতেছে। এগুলো আলমেটলি টিকবে কিনা সেটা অন্য হিসাব।
তিনি বলেন, সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে সিরিয়াসলি একটা কাজই করে। সেটা হলো, তারা সময় ক্ষেপণ করতেছে। তাদের হিসাবটা হলো, যতক্ষণ থাকা যায়। যদি দুইটা দিন বেশি থাকি তাইলে মিনিমাম দুইটা ফাইল তো সাইন করতে পারব। তো ওইটুকু নিয়ে তারা আছে। কিন্তু এই থাকাটা তো খুব অস্বস্তিকর হয়ে যাচ্ছে।
কেএন/টিকে