বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনা শেরপুরের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজই করেনি : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনা শেরপুরের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজই করেনি। তিনি শুধু তার পছন্দের কয়েকটি জেলায় উন্নয়ন করেছেন। তাই এনসিপি শেরপুরসহ সারাদেশের সুষম উন্নয়নের রাজনীতি করতে চায়।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে শেরপুরে এনসিপির পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে যেকোনো মূল্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, শেরপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করা হচ্ছে। আমরা এর বিরোধিতা করেছি। এই অঞ্চলের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় হাতি লোকালয়ে চলে আসে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেও আমরা কোনো দৃশ্যমান বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছোবল মেরে উঠতে চেয়েছিল, গোপালগঞ্জ কেন সারা দেশের কোনো জায়গায় আমরা মুজিববাদকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেব না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের এমপিদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

তিনি বলেন, এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকতে পারবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই জারি করতে হবে এবং নতুন সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এছাড়া এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা কাউকে পীর মানবো না। আগামীর বাংলাদেশ প্রতিরোধের বাংলাদেশ। দেশ হবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বাংলাদেশ।

এ সময় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল পুলিশ সংস্কারের, কিন্তু পুলিশ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। শুধু নির্বাচনের আলাপ। সবচেয়ে বেশি দরকার পুলিশ এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন। থানায় নতুন পুলিশ সদস্য দেয়ার কথা ছিল সেগুলো দেয়া হয়নি।’

সমাবেশে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআর 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
আর মাত্র ২৮ রানের অপেক্ষায় লিটন দাস! Sep 16, 2025
img
রাতারাতি ব্রেকআপ, করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা! Sep 16, 2025
img
জাপার কাদের-শামীমের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্র অধিকার নেতার Sep 16, 2025
img
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি শুক্রবার, ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে হবে পরীক্ষা Sep 16, 2025
img
ফের বিশ্ববাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
টানা ৮ দিন চীনা ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা Sep 16, 2025
img
‘আমি খুব কৃতজ্ঞ মানুষ, মিথ্যা কথা বলি না’ Sep 16, 2025
img
চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক Sep 16, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে এজলাস সংকট, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা Sep 16, 2025
img
তিন মামলা থেকে চসিক মেয়রকে অব্যাহতি Sep 16, 2025
img
ছাত্রলীগ এখন ছাত্রশিবির : দুলু Sep 16, 2025
img
বিজয় দেবরাকোন্ডার নতুন ছবিতে খলনায়ক হিসেবে থাকছে হলিউড তারকা Sep 16, 2025
img
ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিবের পদত্যাগ Sep 16, 2025
img
সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : দুদু Sep 16, 2025
img
দাম যাচাই করেই এলএনজি কেনা হচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের জেরা ফের বুধবার Sep 16, 2025
img
প্রায় ৮০০ কোটি টাকায় নতুন স্পন্সর পেল বিসিসিআই Sep 16, 2025
img
চট্টগ্রামে পূজার নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের ১৭ নির্দেশনা Sep 16, 2025
img
প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিলে রাজপথে নামতে বাধ্য হব: রেজাউল করিম Sep 16, 2025