কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহ আলমকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকার পীর কাশিমপুর গ্রামের একটি মসজিদের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতা শাহ আলমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, ‘আমার বাবাকে নামাজে যাওয়ার সময় পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে একটি কালো নোহা গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবাকে সম্প্রতি এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানতে পেরেছি, কিন্তু এ মামলার এজাহারের ২৫ নম্বরে থাকা যে শাহ আলমের নাম রয়েছে তার বয়স ৪৫ ও পিতার নামের জায়গায় অজ্ঞাত উল্লেখ আছে। সেটা আমার বাবা না, আমার বাবার বয়স অন্তত ৮০ বছর।
আমার বড় বোনের বয়স ৪০। আমার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বয়স ও বিস্তারিত পরিচয় এলাকার সবাই জানে। কেউ তিনটা মার্ডার করার পর এলাকায় অবস্থানের কথা নয়।
’ আমার বাবা ছাড়াও গ্রামে শাহ আলম নামের ৮/১০ জন রয়েছেন।’ তিনি তার বাবার মুক্তি দাবি করেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, ‘শাহ আলম সরকার একজন উপজেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা। তিনি আকুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছে জানি না।
আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ তিনি শাহ আলমের মুক্তির দাবিসহ তাকে আটকের সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. নায়েব আলী বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতের আঁধারে বিএনপির একজন প্রবীণ নেতাকে এভাবে উঠিয়ে নেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টরা যেভাবে নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাত এখনো তাই হচ্ছে। আমরা তার মুক্তি দাবি করছি।’
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া শাহ আলমকে আটক করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
কেএন/টিকে