এখন কি রক্ষীবাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে : উমামা ফাতেমা

এখন কি রক্ষীবাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে— এমন প্রশ্ন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আমরা বিশাল র‌্যালি করলাম, গণভবনে গেলাম। পরের দিন সকালবেলা থেকেই দেখি সমন্বয়ক পরিচয়ে একেকজন একেক জায়গায় গিয়ে দখল করছে। তখন আমি অবাক হয়ে যাই।

যেখানে গতকাল পর্যন্ত কেউ সমন্বয়ক পরিচয়টা দিতেই রাজি হচ্ছিল না, আর আজকে থেকে শুনি যে সবাই সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে, দখল করছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের বিভিন্ন বই যেমন খোয়ারি বইয়ে দেখেছি, আওয়ামী লীগের রক্ষীবাহিনী ছিল, তারা গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দখল করা শুরু করে। তো আমার মনে হচ্ছে, এখন কি রক্ষীবাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে নাকি। আস্তে আস্তে সব জায়গায় গিয়ে দখল করছে এরা।

কিভাবে আমরা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনটা পার করছি, সেটা ভাবলে আমার এখনো অবাক লাগে। আমার মাথায় একবারও আসেনি যে এটা দিয়ে টাকা-পয়সাও ইনকাম করা যায়। কিন্তু এটা দিয়ে লোকজন আসলে নানা কিছু করছে। টেন্ডার বাণিজ্য, তদবির বাণিজ্য, ডিসি নিয়োগ করছে।

জুলাই-আগস্ট একটা মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে। খুবই কমন, খুবই রেগুলার বেসিসেই এটি হয়ে আসছে।’

‘অনেকে বলেন যে আমি কত হাজার কোটি টাকা কামাইছি। আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি যথেষ্ট ভালো আছি। আমি ওয়েল অব ফ্যামিলি থেকে বিলং করি।

জীবনে এত খারাপ অবস্থা আসেনি। আমার স্কলারশিপের জন্যও এসবের দরকার নেই। আল্লাহ আমাকে ভালো সিজিপিএ দিয়েছে, আমি ভালো সাবজেক্টেও পড়ছি। যদি আমি মনে করি যে আমার একটা ভালো স্কলারশিপ লাগবে, আই ক্যান গেট ইট বাই মাইসেলফ। আমার ওই ক্যাপাবিলিটি আছে, ওই ক্যাপাসিটি আছে। আর ফরচুনেটলি আমার ফ্যামিলিরও আমার প্রতি ওই সাপোর্টটা আছে। আমার ফ্যামিলি আমাকে কোনো মানি মেকিং মেশিন হিসেবে ইউজ করে না। আমার ফ্যামিলি আমাকে একটা হিউম্যান বিং হিসেবে দেখে এবং চায় আমি দেশের জন্য বেটার কিছু করি।’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু Jul 29, 2025
img
বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেছে সরকার Jul 29, 2025
img
ভাই হারানোর শোকে বিহ্বল এ কে রাহুলের হৃদয়ভাঙা স্ট্যাটাস Jul 29, 2025
img
আবারও আইনি নোটিশ পেলেন রিয়া চক্রবর্তী Jul 29, 2025
img
জুলাই শহীদ আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Jul 29, 2025
img
জনসংখ্যা সংকটে চীন, জন্মহার বাড়াতে চালু করল নগদ সহায়তা প্রকল্প Jul 29, 2025
img
সংস্কার ও বিচার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাই পীর Jul 29, 2025
img
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্য সনদ চূড়ান্ত করার আশাবাদ কমিশনের Jul 29, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মারণাস্ত্র ব্যবহারে কারা উৎসাহী ছিলেন জানালেন সাবেক আইজিপি Jul 29, 2025
img
১ আগস্ট মুক্তি পাবে ‘সেলাই’: সঙ্গীত শিক্ষক নিরঞ্জন বসুর জীবনে সম্পর্কের সেলাই Jul 29, 2025
img
একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর দুঃখ প্রকাশ করলেন আসিফ নজরুল Jul 29, 2025
img
কেন ডিবি প্রধান হারুনকে জ্বীন বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Jul 29, 2025
img
ইসরাইলের দুই মন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা Jul 29, 2025
img
মাঝে মাঝে ভয় হয়, জুলাইয়ের শিক্ষা ক্ষয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Jul 29, 2025
১ টাকায় বাড়ি, কোটি টাকা অনুদান- ইউরোপে পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ Jul 29, 2025
এআই ডিপফেক ভিডিওর কেলেঙ্কারি, সাদিয়া আয়মানের ক্ষোভ! Jul 29, 2025
কারিশমার বিচ্ছেদে কেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন কারিনা? Jul 29, 2025
img
কোনো প্রটেকশন দিয়ে চাঁদাবাজদের রক্ষা করা যাবে না : সারজিস আলম Jul 29, 2025
জাতিসংঘের রিপোর্টকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল: আখতার হোসেন Jul 29, 2025
img
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ধরা পড়ল এক মণ ওজনের শুশুক Jul 29, 2025