গণ-অভ্যুত্থান উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ১১ দিনের বিশেষ অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি। ফ্যাসিবাদী শক্তি নাশকতা করতে পারে এমন শঙ্কায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশের সকল ইউনিটকে। নির্দেশনা পেয়ে রাজধানীতে ১৪৬ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানোর কথা জানিয়েছে ডিএমপি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানের দুই মাস জুলাই ও আগস্ট পুরোটাই সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে পুলিশ। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ অভিযানের বিকল্প নেই।
২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল ছাত্র জনতা। এক বছর পূর্তিতে তাই নানা কর্মসূচি পালন করছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।
গণ-অভ্যুত্থান উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ কথা জানিয়েছিল পুলিশ সদর দফতর। এ কারণেই এখন পর্যন্ত তেমন কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
তবে, গণ-অভ্যুত্থান উদযাপনের শেষ ১১ দিনে ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতার আশঙ্কা করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি। তাইতো ১১ দিনের বিশেষ অভিযানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশের সকল ইউনিটকে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষ অভিযানে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসসহ সব যানবাহনে তল্লাশি, বাস টার্মিনাল-লঞ্চঘাট-রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের আশপাশে বিশেষ নজরদারি এবং মোবাইল পেট্রল বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, সাইবার পেট্রলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের নির্দেশনাও রয়েছে। নির্দেশ পেয়ে নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে নাশকতাকারীদের ধরতে পারলে আতঙ্ক কাটতে পারে।
বিশেষ অভিযানের নামে নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ অপরাধ বিশ্লেষকের।
এমআর/টিকে