সবচেয়ে ভয়ংকর ভুল করেছেন আমাদের চিফ প্রসিকিউটর : তারেক

আমজনতা দলের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান বলেছেন, ‘সবচেয়ে ভয়ংকর ভুল করেছেন আমাদের চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেছেন, মেট্রো রেলের আগুন নাকি শেখ হাসিনা দিয়েছেন। কেন আগুন দেওয়া হয়েছে? আন্দোলন নাকি ভিন্নপথে নেওয়ার জন্য এ আগুন দিয়েছেন। আরে ভাই, এই টিভি সেন্টার থেকে পুলিশ গুলি করছিল।

জনগণ গিয়ে সেখানে পুলিশকে তাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা হলো খুনের আসামি, আপনি তাকে দিচ্ছেন টিভি সেন্টারে আগুন দেওয়ার মামলার আসামি।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) একটি গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘যে মামলাগুলো হয়েছে, একজন মারা গেছে, মামলা হয়েছে ১০০-২০০ জনের নামে। আমাদের এক জেলা আহ্বায়ক আন্দোলনের সময় গত বছরের ৩ আগস্ট পটুয়াখালীতে ছিলেন। পটুয়াখালীতে তার লাইভ আছে। সেই দিন উত্তরায় একজন মারা গেছে।

এখন শত্রুতার কারণে আমাদের দলের আহ্বায়ককে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার কি দুইটা আত্মা নাকি? একটা পটুয়াখালীতে, আরেকটা হলো উত্তরায়? তো এ রকম যদি ভুয়া মামলা হয়, তাহলে আপনি প্রকৃত অপরাধীদের ধরবেন কিভাবে? ২০০ জন মিলে একজন মানুষকে হত্যা করেছে? এগুলো কি মামুর বাড়ির আবদার নাকি? ওই মামলায় জীবনেও কোনো দিন প্রমাণ করা যাবে যে খুনি কে? এগুলো মামলা বাণিজ্য, আটক বাণিজ্য। যে কারণে প্রকৃত দোষী, প্রকৃত অপরাধীদের ধরা যাচ্ছে না।’

চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি বলছেন যে আওয়ামী লীগের লোকটা হত্যা মামলার আসামি, ওই লোকটা কি সত্যিকার অর্থে ওইখানে হত্যার সময় ছিলেন? ওই লোকের মত আরো শত শত হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা আছে। সেই লোকগুলোকে আটক করছেন না কেন? এই যে সমন্বয়ক ১০ লাখ টাকা নিল, ওই জায়গায় যদি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে দিত, তাহলে আপনি এই প্রশ্ন করতে পারতেন? তাহলে এই খবর বাইরে আসত।

তার মানে আওয়ামী লীগের নেতারা যেইখানে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে পারছেন সেখানে বেঁচে যাচ্ছেন, আর যেখানে টাকা দিচ্ছেন না সেখানে হয়ে যাচ্ছেন খুনি, হত্যা আসামি—আরো অনেক কিছু।’

‘দুই সপ্তাহ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচার করছেন যে চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাকে টিভি সেন্টার মামলার জন্য ফাঁসিয়েছেন’ উল্লেখ করে আমজনতা দলের এই নেতা বলেন, ‘মেট্রো রেল, সেতু ভবন থেকে পুলিশ গুলি করছিল—এসব শেখ হাসিনার দুর্গ ছিল। এই দুর্গগুলো দখল করছে কারা? ছাত্র-জনতা দখল করছে।

তাহলে এইটা একটা গৌরবের বিজয়। সেই বিজয়কে উল্টিয়ে বলছেন যে— শেখ হাসিনা এটা করিয়েছে। আমি একজন আইনের ছাত্র। আমি এটা বুঝতে পারছি যে—এটা একটা ভুল অভিযোগ। তাহলে একটা ভুল অভিযোগ দিচ্ছেন চিফ প্রসিকিউটর? তাহলে উনি তো নিজেই এই মামলাটাকে দুর্বল করে দিচ্ছেন। তাই না?’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় জানতে পারি হাসিনার পতন হবে : চৌধুরী মামুন Jul 30, 2025
img
বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় বিনিয়োগ করবে হানডা Jul 29, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে র‌্যাংকিং পদ্ধতিতে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ Jul 29, 2025
img
তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু Jul 29, 2025
img
বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেছে সরকার Jul 29, 2025
img
ভাই হারানোর শোকে বিহ্বল এ কে রাহুলের হৃদয়ভাঙা স্ট্যাটাস Jul 29, 2025
img
আবারও আইনি নোটিশ পেলেন রিয়া চক্রবর্তী Jul 29, 2025
img
জুলাই শহীদ আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Jul 29, 2025
img
জনসংখ্যা সংকটে চীন, জন্মহার বাড়াতে চালু করল নগদ সহায়তা প্রকল্প Jul 29, 2025
img
সংস্কার ও বিচার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাই পীর Jul 29, 2025
img
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্য সনদ চূড়ান্ত করার আশাবাদ কমিশনের Jul 29, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মারণাস্ত্র ব্যবহারে কারা উৎসাহী ছিলেন জানালেন সাবেক আইজিপি Jul 29, 2025
img
১ আগস্ট মুক্তি পাবে ‘সেলাই’: সঙ্গীত শিক্ষক নিরঞ্জন বসুর জীবনে সম্পর্কের সেলাই Jul 29, 2025
img
একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর দুঃখ প্রকাশ করলেন আসিফ নজরুল Jul 29, 2025
img
কেন ডিবি প্রধান হারুনকে জ্বীন বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Jul 29, 2025
img
ইসরাইলের দুই মন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা Jul 29, 2025
img
মাঝে মাঝে ভয় হয়, জুলাইয়ের শিক্ষা ক্ষয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা Jul 29, 2025
১ টাকায় বাড়ি, কোটি টাকা অনুদান- ইউরোপে পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ Jul 29, 2025
এআই ডিপফেক ভিডিওর কেলেঙ্কারি, সাদিয়া আয়মানের ক্ষোভ! Jul 29, 2025
কারিশমার বিচ্ছেদে কেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন কারিনা? Jul 29, 2025