গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের রায়ের পরিপত্র বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে। তাই জুলাই সনদে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভূমিকা তুলে ধরতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার বিরতিতে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে শাকিল উজ্জামান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে অবশ্যই ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভূমিকা তুলে ধরতে হবে।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন একদিনে গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য হামলা, মামলা এবং নির্যাতনের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন সফল হয়েছিল।’
এই আন্দোলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নির্যাতন করেছিল। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রাশেদ খানকে ১৫ দিন রিমান্ডে নির্যাতন করা হয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরিকুলকে ছাত্রলীগ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেফিন এখনো চোখে স্প্লিন্টার নিয়ে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছেন। আমি নিজেও এই আন্দোলনে ব্যাপক নির্যাতন সহ্য করেছি এবং আমার পরিবারকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এই রকম অসংখ্য ছাত্র-জনতার নির্যাতন শিকারের মধ্য দিয়েই ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেছিল।
শাকিল উজ্জামান আরো বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তাই জুলাই সনদে এই আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকা যথাযথভাবে স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
এসএন