এখন পর্যন্ত যেসব বিষয় আলোচনাতে আটকে আছে বা অমীমাংসিত, সেসব বিষয় পরবর্তী পর্যায়ের জন্য ছেড়ে দিতে হবে বলে মনে করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, সবকিছু সমাধান করে তারপর নির্বাচন, এটা বলা যাবে না। কারণ এখানে কিছু কিছু বিষয় অমীমাংসিত থাকবে। সেগুলো পরবর্তী পর্যায়ের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলো আলোচনায় আটকে আছে, তার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বাদে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আসলে কতটুকু সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়া হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বা গোটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি কিভাবে নির্বাচিত হবে? এই বিষয়গুলো কি নির্বাচনের আগেই সুরাহা প্রয়োজন নয়? একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম আরো বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আমরা একটা পর্যায়ে এসে বলে দিয়েছি আওয়ামী লীগের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। কেন পতন চাই, আমরা কিন্তু আগেই বলে দিয়েছি।
যদি আপনি কোনো সনদ বা ঘোষণা চান, তাহলে কিন্তু ওইটাকেই ধরতে হবে। আমরা আগেই বলেছি, এই সরকারের পতন আমরা কেন চাই। কাজেই এটা পরবর্তী পর্যায়ে ছাত্ররা বলেন বা অন্যান্যরা আসেন, তারা যখন আসছে, তাদের তো সেই সময়টুকুও ছিল না। তারা যেটা নিয়ে শুরু করেছিল, কোটাবিরোধী নিয়ে।
সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন আসলো, তখন আর ওইরকম স্পেসিফিক কারণে ঘোষণা দিয়ে যাওয়ার সেই অবস্থাটা ছিল না।
ঘোষণাপত্র নিয়ে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি না হলে শহীদদের যে মর্যাদা, সেটা ঠিকমত থাকছে না বা এই আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের যৌক্তিকতা, তাদের আইনগত বৈধতা এগুলো প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে, সেটা নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা পরিষ্কার। আমরাও চাই। আমরা এটা ডিনাই করিনি যে, এটা হওয়া যাবে না বা হওয়া অযৌক্তিক।
এ সময় তিনি বলেন, সরকার কেন জানি না সব কিছুতেই পরিবেশ ঘোলা করে তারপর সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে চায়।
এ জন্য এখন পর্যন্ত সবগুলো ব্যাপারই ঝাপসা করে রাখছে। পরিষ্কার বলা উচিত ছিল, আমরা এতগুলো আলোচনা করছি, এতগুলো ওদের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আর বাকিগুলো এই আছে, এটা এই অবস্থায় আছে। কিন্তু তারা বলে না মীমাংসিত হয়নি। মীমাংসিত কি হয়নি বলতেছে, মীমাংসা কোনটা হয়েছে সেটা বলুক। আমরা বারবারই বলছি, সংস্কারটা চলমান প্রক্রিয়া। সবকিছুই সংস্কার করে নির্বাচনে যাবেন সেটা তো হবে না।
পিএ/এসএন