সালমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণার পরদিনই পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ১০০ পয়েন্ট

সালমান এফ রহমানকে পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার একদিন পরই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। লেনদেন ১,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে এবং সূচক বেড়েছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ ছিল। দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করে অর্থ লগ্নি করানো, বন্ড ইস্যুতে অনিয়ম এবং সর্বশেষ “আমার বোন” নামের একটি প্রকল্পে একটি ব্যাংকের নামে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিনিয়োগকারীদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে ‘একটি সাহসী বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এটা প্রমাণ করে যে অপরাধ করে কেউ রেহাই পায় না। তবে তারা এটিও মনে করেন, যদি লোপাট হওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা না করা হয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা না হয়, তাহলে শুধুমাত্র অবাঞ্ছিত ঘোষণার কার্যকারিতা সীমিত থাকবে।

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তি ভালো কোম্পানিগুলোকে ছায়ার আড়ালে রেখে বাজে কোম্পানিগুলোর শেয়ারকে কৃত্রিমভাবে মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পুঁজিবাজার ধ্বংসের পথে গেছে।

সাবেক তদন্ত রিপোর্টেও এই অভিযোগের প্রতিফলন ছিল। ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের ঘটনায় সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তৎকালীন খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির এ ধরনের কঠোর অবস্থান সাময়িকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও স্থায়ী সমাধানের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। শুধু অবাঞ্ছিত ঘোষণা নয়, প্রয়োজন অর্থ ফেরত আনার এবং অপরাধ প্রমাণ হলে আদালতের মাধ্যমে সাজা নিশ্চিত করার।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইংল্যান্ডে খেলার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করলেন নাহিদ রানা Aug 01, 2025
img
বিতর্কিত জলসীমায় চীনের বাড়তি সামরিক উপস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে Aug 01, 2025
img
আদালতে দুই বাংলাদেশির পক্ষে রায়, ক্ষিপ্ত হলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী Aug 01, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়, বিশ্ব রেকর্ড গড়ল উগান্ডা Aug 01, 2025
img
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পরিধি বাড়ানো হবে : নৌ উপদেষ্টা Aug 01, 2025
img
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি মিলবে: মির্জা ফখরুল Aug 01, 2025
img
ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত Aug 01, 2025
ঋণখেলাপি মামলায় ক্ষুব্ধ যুবদল নেতা, ব্যাংক হামলায় আহত ম্যানেজার Aug 01, 2025
img
'কোহলিকে আমি বাথরুমে কাঁদতে দেখেছি' Aug 01, 2025
জেলের গেটে ভিড়, কান্না আর অপেক্ষার গল্প! Aug 01, 2025
img
ডি ভিলিয়ার্সের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং, অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে দ. আফ্রিকা Aug 01, 2025
"জুলাইয়ে মালিকানা কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে বেইচ্চা দেইনাই" Aug 01, 2025
img
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৬১ Aug 01, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে ট্যারিফ কমানো অন্তর্বর্তী সরকারের বড় অর্জন: ফখরুল Aug 01, 2025
img
চট্টগ্রামে ট্রেনের যাত্রা বাতিল, স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ Aug 01, 2025
img
সরকারি জায়গা দখল করতে গিয়ে বিতর্কে এনসিপি নেতার বাবা Aug 01, 2025
img
আওয়ামী ক্যাডারদের ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠকের তদন্ত চলছে : ডিএমপি Aug 01, 2025
img
আফগানিস্তান ও আরব আমিরাতকে নিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ Aug 01, 2025
img
ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ Aug 01, 2025
img
গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যের আহ্বান জানাল রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল Aug 01, 2025