যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপকে ‘বিরক্তিকর’ আখ্যা দিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি রাশিয়া যা করছে তা বিরক্তিকর। আমি এটিকে বিরক্তিকরই মনে করি।’ এদিকে বৃহস্পতিবারই কিয়েভে চালানো মস্কোর হামলায় দুই ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
ট্রাম্প আরো জানান, তিনি তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে রাশিয়ায় পাঠাবেন, যিনি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা থেমে যাওয়ার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোয় উইটকফের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছিলেন।
কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার হুমকি দিয়ে ওয়াশিংটন রাশিয়াকে আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ ইউক্রেনে হামলা বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছে। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
পুতিনকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প জানিয়েছে, তিনি জানি না পুতিন আদৌ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ঘামান কি না।
তিনি আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক’ আরোপ করা হতে পারে, যা রাশিয়ার অবশিষ্ট বাণিজ্য অংশীদার—যেমন চীন ও ভারতের ওপরও প্রভাব ফেলবে। এর ফলে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়বে। তবে এতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকিও থাকবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে ইউক্রেন হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধ খুব দ্রুতই শেষ হবে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কোর নিরবচ্ছিন্ন হামলা নিয়ে পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন ট্রাম্প।
এদিকে ৩১ জুলাই রাশিয়া কিয়েভে একটি ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে পাঁচজন শিশু অন্তত ৩১ জন নিহত হয় ও অনেকেই আহত হয়। এ হামলায় ভবন ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাশিয়ার শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অন্যদিকে জার্মানি শুক্রবার জানিয়েছে, তারা খুব দ্রুতই ইউক্রেনকে দুটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘প্যাট্রিয়ট’ পাঠানো শুরু করবে।
সূত্র : আলজাজিরা
এমআর/টিকে