পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বলেছেন, ইসরাইলের সম্মতি ছাড়া কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হতে পারে না।
গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
এর মধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, মাল্টার মতো ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। এসব দেশ আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে।
তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রশ্নে ইসরাইলের সুরেই কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর সিদ্ধান্তে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফক্স রেডিওকে এক সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।
সেখানে তিনি বলেন, ‘যে দেশগুলো স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের কারোরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষমতা নেই। এ স্বীকৃতি প্রক্রিয়া বিপরীত ফল দেবে। এটি শান্তির পথে সহায়ক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ইসরাইল সম্মতি না দিলে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। তারা (পশ্চিমা দেশগুলো) বলতে পারে না সেই রাষ্ট্র কোথায় হবে, কে সেখানে শাসন করবে-তারা কোনো স্পষ্ট রূপরেখাও দিতে পারে না।
রুবিও দাবি করেন, হামাস এখনও অন্তত ২০ জনকে জীবিত জিম্মি করে রেখেছে এবং ৫০ জনের বেশি মানুষের মরদেহ আটকে রেখেছে। অথচ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতিদানকারীরা ‘হামাসের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন’।
রুবিও আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তগুলো চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘ক্ষতিকর প্রভাব’ ফেলছে। অনেক দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা আন্তর্জাতিক পরিণতি বিবেচনা না করেই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, তাদের এই বিবৃতি বাস্তবতা পাল্টাবে না। বরং হামাসকে উৎসাহিত করছে- যাতে তারা যুদ্ধবিরতিতে না যায়, জিম্মিদেরও ছেড়ে না দেয়।
টিকে/