প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন তিনি।
নুর বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে হলেও এতে বিভিন্ন সংগঠন জড়িত ছিল। এ দেশে পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো অভ্যুত্থান সফল হয়নি।
জনপ্রশাসন ও পুলিশে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলা হলেও প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগে সংস্কারকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। পুলিশকে যারা পেটোয়া বাহিনী বানিয়েছে, সেই ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের পুনর্বাসন নিয়ে তিনি বলেন, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক।
ছাত্রদের ত্যাগ ও অবদান স্মরণ করে নুর আরও বলেন, অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকা ভুলে গেলে তার পরিণতি শুভ হবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘কেন বারবার জীবন দিতে হচ্ছে? শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হচ্ছে? তাহলে কি ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিই না?’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে ড. মঈন খান বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছিল, তা কি পূরণ হয়েছে? শুধু শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্তুষ্ট করা যাবে না। আমরা সত্যিকারের পরিবর্তন চাই। সব পরিবর্তনই কিন্তু প্রকৃত পরিবর্তন নয়। সংস্কারও শুধু দেখানোর জন্য নয়। কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়।’
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যদি ওই ঘটনায় আলাদাভাবে ১৬০০ মামলা করা হয়, তবে বিচার শেষ করতে ১৬০০ বছর লেগে যাবে। সাধারণ আইন দিয়ে কখনোই অসাধারণ বিচার সম্ভব নয়। একটি মামলাই যথেষ্ট। যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই রায় দেয়া সম্ভব। আইনজ্ঞদের পক্ষে এটি অসম্ভব নয়।
পিএ/টিএ