জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামে একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানিয়েছে দলটি। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে দলটির ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে এনসিপির জন্য আসন্ন নির্বাচনে ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখার পাশাপাশি সাতটি দাবি প্রচার করা হচ্ছে। ‘জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামা’ শিরোনামে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া বিবৃতিতে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-
১. ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে এবং জনগণের সমর্থনে যে আন্দোলন হয়েছে তা বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
২. জুলাই আন্দোলনে একমাত্র নেতৃত্বদানকারী হলো নাহিদ, আসিফ, হাসনাতসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হিসেবে আন্দোলন পরবর্তী ছাত্রদের গঠিত দল এনসিপিকে আন্দোলনের মূল নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের বিপ্লবী ছাত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভবিষ্যৎে তাদের সকল কর্মকাণ্ডকে (আইনসিদ্ধ বা আইন বহির্ভূত) রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে বাধ্য থাকিবে।
৪. জুলাই আন্দোলন তথা দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা দিতে হবে এবং এই আন্দোলনে শহীদ ও যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার সমান স্বীকৃতি ও সকল সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
৫. আন্দোলনের মূল নেতা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আখতার হোসেন, মাহফুজ আলম, নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীকে জুলাই আন্দোলনের সাতজন ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আন্দোলনের সকল সমন্বয়ককে ‘বীর বিক্রম’ উপাধি দিতে হবে।
৬. আন্দোলনের আহত, নিহতের পরিবারের সদস্য, অংশগ্রহণকারী, বীরশ্রেষ্ঠ এবং বীর বিক্রমের পরিবারের সদস্য সকলকে সরকারি চাকরিতে বিশেষ সুবিধা দিয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৭. জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে এনসিপির জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
এমআর/টিকে