অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণায় এ কথা বলেন তিনি। ঘোষণাপত্রের ১৬ ও ১৭ নম্বর পয়েন্টে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালায়। যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।
অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেন এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।’
ইউটি/টিএ