নিউজিল্যান্ড বড় জয় পাবে, সেটা তারা বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬০১ রান করার পরই অনুমান করা যাচ্ছিল। কিন্তু জয়টা যে এত বড় হবে, সেটা কয়জন আন্দাজ করেছিলেন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩৫৯ রানের ব্যবধানে জিতেছে তারা।
টেস্ট ইতিহাসে সাড়ে তিনশ রানের বড় ব্যবধানে জয় আছে ৩০টিরও বেশি। যদি ইনিংস ব্যবধান যোগ করা হয়, তবে সংখ্যাটা নেমে আসে মাত্র তিনে। এই সবশেষ তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়টা নিউজিল্যান্ডের, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। ইনিংস ব্যবধানে অন্য দুটি বড় জয়ের একটি ইংল্যান্ড ও অন্যটি অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ড ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল ইনিংস ও ৫৭৯ রান ব্যবধানে, ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়টি ইনিংস ও ৩৬০ রানে।
ইনিংস ৩৫৯ রান ব্যবধানে জিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজও নিশ্চিত করল। দুই ম্যাচের সিরিজের আগের টেস্টে ৯ উইকেটে জিতেছিল তারা। সেই সঙ্গে টেস্টে অপরাজিত থাকল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
৭ উইকেট হাতে রেখে নিউজিল্যান্ড আজ, অর্থাৎ তৃতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি। ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া স্বাগতিকরা আজ অলআউট হলো ১১৭ রানে। তৃতীয় দিনই জয় তুলে নেওয়ায় বড় অবদানটা রেখেছেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জাকারি ফকস। ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের পেসারদের বিপক্ষে নিক ওয়েলশ বাদে জিম্বাবুয়ের আর কোনো ব্যাটারের কোনো জবাব ছিল না। প্রথম ওভারেই ব্রায়ান বেনেট আউট পর ওয়েলশ নেমেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিতই ছিলেন তিনি। মাঝে ক্রেগ আরভিনের সঙ্গে গড়েন সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি। আরভিন করেন ১৭ রান। জিম্বাবুয়ের বাকি সবাই আউট হয়েছেন সিঙ্গেল ডিজিটে। ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
নিউজিল্যান্ড নিজেদের একমাত্র ইনিংসে ৬০১ রান করে ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে। তিনজনই খেলেছেন ১৫০+ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়েকে প্রথম দিনই অলআউট করে প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে কিউরা। ফিফটি তুলে নিয়ে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। উইল ইয়ং আউট ৭৪ রানে আউট হলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন জ্যাকব ডাফি।
ডাফি কনওয়েকে দারুণ সঙ্গই দেন। গতকাল আরও ২৮ রান করেন তিনি। ডাফি সাজঘরে ফেরার পর কনওয়ে ব্যক্তিগত স্কোরটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়ে নিয়ে যান দেড়শর ঘরে। ১৫৩ রান করে ব্লেজিং মুজারাবানির ওভারে আউট হন তিনি। এরপর নিকোলস ও রবীন্দ্রর ব্যাটে দ্বিতীয় দিন শেষ করে তারা। রবীন্দ্র তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। নিকোলস মাঠ ছাড়েন ১৫০ রানে।
এফপি/টিএ