ক্রিকেট মাঠে চলছে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ। খেলার ভেতর একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার ও ভারতের হারশিত রানা। রেফারির ভূমিকায় ভারতেরই সাই সুদর্শন। তিনি কোনোরকমে বুঝিয়ে আউট হওয়া সৌম্যকে মাঠ ছাড়তে বলছেন। এটুকু পড়ার পর মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, আরে এমনটা আবার কবে হলো?
ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৩ ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা ভারত ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের অনেক গালি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের পেসার হারশিত রানা। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়েও সৌম্য গালিগালাজ করেছেন। যে কারণে তার প্রতি ভারতের ক্রিকেটাররা ক্ষুব্ধ ছিলেন, এমনটাই বলেছেন হারশিত।
কলম্বোয় ওয়ানডে সংস্করণের সে ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা ভারত এ দল ২১১ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে বাংলাদেশ এ দল একপর্যায়ে বিনা উইকেটে ৭০ রান তোলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরেছিল ৫১ রানে।
সম্প্রতি এই ম্যাচ নিয়ে জনপ্রিয় ইউটিউব পডকাস্ট চ্যানেল টিআরএস ক্লিপসে কথা বলেছেন হারশিত, যা গতকাল ইউটিউবে এসেছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময় লড়াই হয়। সেদিন আমরা আগে ব্যাটিং করেছিলাম। ১৬০ (২১১ রান) এর আশেপাশে অলআউট হয়ে যাই। ব্যাটিংয়ের সময় ওরা আমাদের অনেক গালি দিয়েছে। ইয়াশ ধুল ও আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, প্রচুর গালি শুনেছি।’
ভারত জাতীয় দলে গত বছর পেসার হারশিতের অভিষেক হয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। হারশিত যোগ করেন, ‘আউট হয়ে বাইরে গিয়ে আমরা মাঠের গালি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। সিতাংশু কোটাক (কোচ) স্যার শুনে আমাদের বলেছিল “তোমাদের বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্রিকেট খেলব। ওখানে লড়াই চাই না। আমরা জিতে জবাব দেব।”
সৌম্য সরকারের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে হারশিত বলেন, ‘আমরা সবাই অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেট খেলতে গিয়েছি। সে (সৌম্য) ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। যা হয়েছে তার সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। ভিডিওটা দেখলে বুঝবেন, আমি নিজের মতো উল্লাস করছিলাম। সে (সৌম্য) আমাকে কিছু বলেছে এবং সেখান থেকেই কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর ওদের অনেক ব্যাটসম্যানও গালি হজম করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম।’
হারশিত যোগ করেন, ‘ওদের একটা বাঁহাতি স্পিনার অনেক গালি দিয়েছিল।’ বাংলাদেশের সেই দলে একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন রাকিবুল হাসান। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে এই পেসার বলেন, ‘ওদের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। এরপর শুধু রেফারির সঙ্গে কথা হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ওই দলের অনেকে ছিল, কারও সঙ্গে কথা হয়নি।’
এমকে/টিকে