জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার তৈরি ঘোষণাপত্রটি অসম্পূর্ণ। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে ইতিবাচক বলা হলেও, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে সেই আলোকে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের আগে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের জরুরি থানা দায়িত্বশীল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্রে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুপস্থিত থাকায় জাতি হতাশ হয়েছে। যা শাহাদাতবরণকারী ২ হাজার ও আহত ৫০ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে প্রতারণা। জুলাই ঘোষণাপত্রে বিচারক হত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং শিক্ষকদের অবদান অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ঘোষণাপত্রে ইসলামপন্থিদের অবদান মূল্যায়িত হয়নি। জুলাইয়ের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সিলেট মহানগর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইসলাম উদ্দিনের পরিচালনায় বৈঠকে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, সিলেট জেলা আমির ও সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট-১ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী, নগর জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি শাহীন আহমদ।
এ ছাড়া বৈঠকে সিলেট মহানগরীর শূরা সদস্যগণের পাশাপাশি সকল থানা দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।