বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যের মতো সরকার বলে, ‘মব’ করবেন না : আব্দুন নূর তুষার

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং ইনফ্লুয়েন্সার আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যে যেমন একদল লোক এসে বলত; আইন হাতে তুলে নেবেন না প্লিজ। ততক্ষণে নায়কের হাতে ভিলেন নিহত হয়েছে। ঠিক একইভাবে অন্তর্বর্তী সরকার এসে বলেন যে এখন আপনারা মব করবেন না প্লিজ!’ সম্প্রতি তিনি এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ফলকার টুর্কের রিপোর্টটা অর্ধেক-অর্ধেক পড়ে সবাই।

সামনেরটুকু একদল আর পেছনেরটুকু একদল পড়ে। ফলকার টুর্ক একটা জায়গায় বলেছেন, রিভেঞ্জ কিলিং হচ্ছে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড। এখন এই প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের আইনে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড কি জায়েজ? এইটা কি বিচারের মধ্যে পড়বে না? আমি কি চাইলে প্রতিশোধের জন্য আপনাকে হত্যা করতে পারি? এটা যদি বাংলাদেশের আইনে না থাকে তাহলে ফলকার টুর্কের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করা প্রয়োজন এবং সেই প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড জায়েজ কি না এটাও তো আমাদের আইনের মাধ্যমে করতে হবে।’

আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘ফলে যেকোনো হত্যাকাণ্ডকে আমি মনে করি যে, বিচারের আওতায় আনা উচিত।

কোন একটি দেশে যখন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় না, তখনই সেখানে হত্যা সংস্কৃতি তৈরি হয়। যেমন পাথর দিয়ে পিটিয়ে লোকজন মারা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে শুরুতে মবকে প্রেসার গ্রুপ বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, মব হচ্ছে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জন্য আপনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। এবং অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যে যেমন একদল লোক এসে বলত আইন হাতে তুলে নেবেন না প্লিজ! ততক্ষণে নায়কের হাতে ভিলেন নিহত হয়েছে। ঠিক একইভাবে অন্তর্বর্তী সরকার এসে বলেন যে, এখন আপনারা মব করবেন না প্লিজ। কিন্তু তারা মবকে বলেছেন প্রেশার গ্রুপ; মবকে বলেছেন এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ; মবকে বলেছেন সেলিব্রেশন। ফলে মবতান্ত্রিক সংস্কৃতি থেকে যদি বাংলাদেশকে বের করা না যায় তাহলে কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।

এক হাসিনা চলে গেছে নতুন হাসিনা আসবেন। হাসিনাদের আসা যাওয়া আমরা বন্ধ করতে পারবো না; যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিজের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেরা আইনসংগত আচরণ না করব। 

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতিসংঘে মার্কিন উপ-প্রতিনিধি মনোনীত ট্যামি ব্রুস কে? Aug 10, 2025
img
দুদকের মামলায় ২০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা Aug 10, 2025
img
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৪ Aug 10, 2025
img
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জরুরি তথ্য চেয়ে মাউশির চিঠি, সময় ২০ আগস্ট পর্যন্ত Aug 10, 2025
img
এক দশক পর ফের জুটি বাঁধছেন নির্মাতা সুরজ ও সালমান খান Aug 10, 2025
img
মুরগির ডাক নকল করে বিভ্রান্তি তৈরি, দরজা খুলতেই ছুরিকাঘাতে হত্যা Aug 10, 2025
img
গল্প পছন্দ না হওয়ায় হৃদয়কে নাকচ করলেন শাকিব Aug 10, 2025
img
কোরিয়ার কাছে পরও নীরব রয়েছে বাংলাদেশের কোচ Aug 10, 2025
img
অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের আক্রমণাত্মক বক্তব্যে নষ্ট হচ্ছে জুলাই ঐক্য: শিবির সভাপতি Aug 10, 2025
img
৫ লাখ টন চাল আমদানিতে ২৪২ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতির সুপারিশ Aug 10, 2025
img
শিবিরকে আমন্ত্রণের প্রতিবাদে সভা থেকে ৩ বামপন্থি সংগঠনের ওয়াকআউট Aug 10, 2025
img
অনেক নেতৃত্বই মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে: যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল Aug 10, 2025
img
শিগগিরই দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি দেখা হবে : তারেক রহমান Aug 10, 2025
img
মঙ্গলবার বাজারে আসছে নতুন নকশার ১০০ টাকার নোট Aug 10, 2025
img
৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি : সালাহউদ্দিন আহমেদ Aug 10, 2025
img
বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে প্রবেশে সীমা, গাড়ি থামবে সর্বোচ্চ দুই মিনিট Aug 10, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে অর্থনীতি বিপর্যয়মুক্ত হয়েছে: সিপিডি Aug 10, 2025
img
নেতানিয়াহু’র দেশে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, সৈন্যদের যুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান Aug 10, 2025
img
শিবিরের ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ ও রাজনীতি নিয়ে যা বললেন সভাপতি Aug 10, 2025
নতুন ভোটার ৪৫ লাখ, তালিকা থেকে বাদ পড়ছে ২১ লাখ Aug 10, 2025