বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয়াবহ লুটপাটের কথা স্মরণ করিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের বিপরীতে সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে কথা বলেন শ্রম উপদেষ্টা।
অর্থপাচারে গভর্নরদের দায় দিয়ে তিনি বলেন, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংক থেকেই ২৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোথাও শুনেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পালিয়ে যান? তিনজন গভর্নরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি গরিবের গভর্নরও পালিয়ে গেছেন। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতির উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা এক বছরে হয়তো কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু দেখেন এখনতো কাউকে গুম করা হচ্ছে না। সর্বোচ্চ বলা হয় ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা কি পরিবর্তন না’, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ব্যর্থতার দায় সবার জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে, এই ব্যর্থতা শুধু সরকারের একার নয়; এই ব্যর্থতা সবার। যেসব গভর্নর টাকা পাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত, তাদের বিচার আমরা করতে পারলাম না। নির্বাচিত সরকার কি বিচার করতে পারবে? আমি জানি না।
ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ, বিনিয়োগ ও প্রবাসী আয়ে মন্দা, রিজার্ভের পতন, উচ্চ মূল্যস্ফিতিসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে গেল বছরের ৮ আগস্ট রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এক বছর পর বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের বিপরীতে সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানে জ্বালানি সংকট, চাঁদাবাজি ও আর্থিকখাতে লুটপাট নিয়ে ক্ষোভ জানান ব্যবসায়ীরা। উঠে আসে ৫ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গ। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ছত্রছায়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বলতাকে দায়ী করেন ব্যাংকাররা।
কেএন/এসএন