বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও নৌ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঠামোবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন না করলে সরকারের পক্ষে অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ এখনো কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না জানিয়ে এম সাখাওয়াত বলেন, আগের সরকার পুরো প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে ফেলেছে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিভিল প্রশাসন, এমনকি সেনাবাহিনীতেও ফ্যাসিবাদ ঢুকে পড়েছিল। রাষ্ট্রের কোথাও ফাঁকা জায়গা ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মাত্র এক বছরে বড় পরিবর্তন সম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন একটি নতুন কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে, যাতে ভবিষ্যৎ সরকারগুলো কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে। এমনকি একটি কাজের জন্য এখন পেছনে লোক পাঠিয়ে বসিয়ে রাখতে হয়, কাজ শেষ হলে ফাইল ফেরত আনতে হয়- এভাবেও কাজ চালাতে হচ্ছে।
শ্রম খাতের সংকট তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, বিজিএমইএর সভাপতিকে এমপি হতে হলে তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) গিয়ে শ্রমিক স্বার্থে সঠিকভাবে কথা বলতে পারবেন না। এটি একটি স্পষ্ট কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।
তিনি আরও জানান, কিছু ব্যর্থ মালিকের কারখানা বর্তমানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে এবং সেগুলো বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, এসব মালিক শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে বেতন পরিশোধের পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়েও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, একসময় ৪২ জন শ্রমিক নেতা কারাগারে ছিলেন, বর্তমানে একজন আছেন। নারীদের বেতন-ভাতা ও অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণ খাতের বড় বড় কোম্পানিগুলো শ্রম কল্যাণ তহবিলে নিবন্ধিতই নয়।
এই বিষয়ে পদক্ষেপ হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, শ্রম কল্যাণ তহবিলে নিবন্ধন না থাকলে ভবিষ্যতে এসব কোম্পানিকে সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
কেএন/এসএন