জাতীয় দলের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার আজ থেকেই ছুটিতে যাচ্ছেন। অ-২০ দলের সঙ্গে তিনি লাওস থেকে আর ঢাকায় ফিরবেন না। ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ড রওনা হয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরে সিনিয়র দলের মিশন অস্ট্রেলিয়া শুরু করবেন।
সিনিয়র দলের মতো বাংলাদেশ অ-২০ নারী দলও প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠেছে। লাওস থেকে আফিদারা আজ বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন। গত জুলাইয়ে মিয়ানমার থেকে এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করে ঢাকায় পৌঁছে হাতিরঝিলে সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। অ-২০ দলের ফুটবলারদের নিয়ে আপাতত সেই রকম কোনো পরিকল্পনা নেই ফেডারেশনের, 'সংবর্ধনার ব্যাপারে ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমার তরফ থেকে ছোট একটি গিফট থাকবে’, বলেন নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তা কিরণ।
আগামী বছর মার্চে সিনিয়র এশিয়া কাপ অস্ট্রেলিয়ায়। এক মাস পর এএফসি অ-২০ নারী এশিয়ান কাপ থাইল্যান্ডে। সিনিয়র দলের মতো অ-২০ টুর্নামেন্টেও রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। এজন্য জুনিয়র টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে অন্তত সেমিফাইনাল খেলতে হবে। প্রায় একই সময় টুর্নামেন্ট হওয়ায় বাফুফে একই ধরনের পরিকল্পনা করছে, ‘জাপান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আজকে আমি আবার মেইল করেছি। আমরা সিনিয়র-জুনিয়র দুই দলকে নিয়ে এক সঙ্গে ক্যাম্প করতে চাই। আমি কাজ করেছি সিনিয়র দল নিয়ে এখন অ-২০ দলের প্র্যাকটিস, ট্রেনিং একোমেডোশন নিয়েও কাজ করতে হবে।'
জাপান এশিয়া তো বটেই নারী বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন। বছরের শেষের দিকে শীত থাকে। মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় গরম আর ঠান্ডায় জাপানে অনুশীলন হলে সেটা বৈপরীত্য হবে। এ নিয়েও ভাবছে বাফুফে, 'আমরা ওয়েদার নিয়েও চিন্তা করছি। আমরা যদি জানুয়ারিতে যাই। ডিসেম্বর থেকেই সেখানে অনেক ঠান্ডা পড়ে। আমি সিনিয়র টিম নিয়ে যা ভাবছি আন্ডার-২০ নিয়েও তা ভাবছি।'
বাফুফে বিগত সময়ে নানা পরিকল্পনাই নিয়েছিল কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এজন্য তিনি আর্থিক সীমাবদ্ধতাকেই সামনে এনেছেন, 'আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক কিছু প্ল্যান করি কিন্তু এক্সিকিউট করতে পারি না। যেহেতু আমাদের আর্থিক অবস্থা আমাদের সেভাবে নেই। যখন আর্থিক ব্যাপারটা আসে তখন একটু সমস্যা তৈরি হয়। যেহেতু একই বছরে দুটো টুর্নামেন্ট। আমাদের অনেক বেশি আর্থিক সহায়তার দরকার হবে। সভাপতির সঙ্গে ১৩ আগস্ট আমরা আলোচনা করব।'
নারী ফুটবলাররা বাফুফের ক্যাম্পে থাকেন। সেখানে খাবারের পুষ্টিগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রায়ই। সিনিয়র ও অ-২০ দুই দলই এশিয়ার মূল পর্বে উঠলেও নারী ফুটবলারদের পুষ্টিহীনতার বিষয়টি আবার উঠে এসেছে আলোচনায়। নারী উইংয়ের প্রধান এ নিয়ে বলেন, 'পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হব না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা।'
ফুটবলাঙ্গনে আলোচনা, নারী ফুটবলাররা বেশিরভাগ সময় পাঙাস মাছ খেয়ে থাকেন। নারী উইংয়ের প্রধান এটা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, 'অনেকেই বলে, আমরা এখানে পাঙ্গাশ মাছ খাওয়াই। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেওয়া হয়। মেয়েরা যদি ঠিকমত খেতেই না পারে তাহলে ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাস মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারব না।’
এফপি/ টিএ