আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এশিয়া কাপকে দেখছে ভারত। এই প্রতিযোগিতা থেকেই বিশ্বকাপের দল তৈরি করে ফেলতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া।
এশিয়া কাপের আগে দলের সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার পাশাপাশি ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, দলের তিন বড় তারকার দেখা নাও মিলতে পারে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে। তারা হচ্ছেন শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক রিপোর্টে জানিয়েছে, আগামী ১৯ বা ২০ আগস্ট এশিয়া কাপের দল নির্বাচন করতে পারেন ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার। সবটাই নির্ভর করছে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মেডিকেল দলের ওপর। তারা প্রত্যেক ক্রিকেটারের ফিটনেস রিপোর্ট পাঠাবে। সেটা দেখে দল নির্বাচন করা হবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপে খুব বেশি পরীক্ষা না-ও করতে পারেন গৌতম গম্ভীর ও আগারকাররা। ভারতের টপ ও মিডল অর্ডার প্রায় পাকা। গত কয়েকটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেন করেছেন অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। তিন ও চার নম্বরে খেলেছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও তিলক বার্মা। পাঁচ নম্বরে হার্দিক পাণ্ডিয়া।
এই ব্যাটিং অর্ডারে জায়গা পাচ্ছেন না শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল। সংবাদ সংস্থাকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “অভিষেক এখন টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার।
উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার হিসাবে সঞ্জুর দুর্দান্ত মৌসুম কেটেছে। সূর্য অধিনায়ক। তিলকও নিজেকে প্রমাণ করেছে। তাই শুভমানের জায়গা হচ্ছে না। যশস্বীকেও দলে রাখা মুশকিল। এমনকি, রাহুলেরও জায়গা হচ্ছে না।
আসলে এরা প্রত্যেকেই টপ অর্ডারের ব্যাটার। কিন্তু সেখানে জায়গা ভর্তি। সবাইকে তো আর খেলানো যাবে না।”
এই তিন জনের বাইরে আইপিএলে কমলা টুপির মালিক সাই সুদর্শনের জায়গাও হচ্ছে না এশিয়া কাপের দলে। সঞ্জু প্রথম পছন্দ হিসেবে খেললে দ্বিতীয় পছন্দ হিসাবে জিতেশ শর্মা বা ধ্রুব জুরেলের মধ্যে একজনকে নেওয়া হতে পারে। জিতেশ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেছেন। তাই তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ঋষভ পান্ত চোট পাওয়ায় তার কথা ভাবছেনই না নির্বাচক প্রধান আগারকার।
ছয় থেকে আট নম্বর পর্যন্ত অলরাউন্ডার খেলাবে ভারত। সেই তালিকায় রয়েছেন রিঙ্কু সিংহ (প্রধানত ব্যাটার, তবে বলটাও করতে পারেন), অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শিবাম দুবে। নীতীশ কুমার রেড্ডি চোট পেয়েছেন। এশিয়া কাপের আগে তার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। অলরাউন্ডারদের পর বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে রয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
পেসারদের তালিকায় অর্শদীপ সিংহ ও জসপ্রীত বুমরাহ। ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটার মধ্যে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন ভারতীয় পেসার। তবে এশিয়া কাপে পাওয়া যাবে তাকে। সেখানে খেললেও তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হয়তো খেলবেন না বুমরাহ। পাশাপাশি হর্ষিত রানা ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের মধ্যে এক জন সুযোগ পেতে পারেন এশিয়া কাপের দলে।
এমকে/টিকে