এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফেই যাত্রা থেমে গেল ঢাকা আবাহনীর। জাতীয় স্টেডিয়ামে হোম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ০-২ গোলে কিরগিজস্তানের এফসি মুরাস ইউনাইটেডের কাছে হেরেছে। এতে কিরগিজ ক্লাব এএফসির অভিষেক আসরেই মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই একমাত্র জয়সূচক গোল পায় কিরগিজ ক্লাব। বাম প্রান্ত থেকে বাতসুলার ক্রসে বক্সে লাফিয়ে দুর্দান্ত জোড়ালো হেড করেন জুমাশেভ। আবাহনীর ডিফেন্ডাররা তাকে মার্কিংয়ে রাখতে পারেননি। গোলরক্ষক মিতুল মারমাও হয়ে পড়েন নির্বাক দর্শক।
আবাহনী ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করেছে। তবে সেই রকম ভীতি ছড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ শিবিরে। ৭২ মিনিটে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি সুলেমান দিয়াবাতে বল টেনে বক্সের উপর মোরসালিনের উপর বল ছাড়েন। কিংস থেকে আবাহনীতে আসা মোরসালিন ভালো পজিশনে বল পেয়েও গোল করতে পারেননি।
আবাহনী ম্যাচে সমতা আনতে পারেনি। তবে কিরগিজ ক্লাব মুরাস দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করে। আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুলের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জুমাশেভ বক্সে একক প্রচেষ্টায় প্রবেশ করেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমা এগিয়ে আসলেও গোল থেকে বাচাতে পারেননি।
কিরগিজ ক্লাব শক্তিমত্তায় আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে ছিল। তাদের দলে ইউক্রেনের একাধিক ফুটবলার রয়েছে। পাশাপাশি কিরগিজস্তান জাতীয় দলের ৫ জনও আছেন মুরাসের স্কোয়াডে। সেখানে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি সুলেমান। কোচ মারুফের কৌশলে অবশ্য আবাহনী ম্যাচে ভালোমতোই ছিল। রক্ষণ দৃণভাবে ঠিক রেখে আক্রমণে উঠেছিল আবাহনী।
মোহামেডান থেকে আসা সুলেমান দিয়াবাতেই ছিলেন আবাহনীর এই ম্যাচের প্রাণভোমরা। মাত্র দুই দিন আবাহনীর সঙ্গে অনুশীলন করলেও তিনি দারুণভাবে মানিয়ে নেন। ম্যাচের ১৭ মিনিটে দিয়াবাতে একক প্রচেষ্টায় বক্সে প্রবেশ করে শট নেন। যদিও গোলের মত ছিল না। পুলিশ থেকে এবার আবাহনীতে এসেছেন ফরোয়ার্ড আল আমিন। ২৩ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে থ্রু পাসে আল আমিন বক্সে প্রবেশ করেন। শট নেয়ার মুহুর্তে কিরগিজ ডিফেন্ডার ব্লক করেন। আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা প্রথমার্ধে দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেছেন। এতে আবাহনী বিরতির সময় পিছিয়ে পড়েনি।
এফপি/ এস এন