আগামী আইপিএল থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হিসেবে জহির খানের অবস্থা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
২০২৪ সালের আইপিএলের আগে জাহিরকে দলের মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা। তবে এলএসজি সূত্রে খবর, দলের কর্তৃপক্ষ জাহিরের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন।
গত আইপিএল শেষ হওয়ার পরই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জহির নিজেও ঋষভ পন্তের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাচ্ছেন না।
গৌতম গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হওয়ার পর জহিরকে লখনউয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া মরনে মরকেলের ভারতীয় দলে যোগ দেওয়ার কারণে গত মৌসুমে লখনউয়ের বোলিং কোচের দায়িত্বও সামলাতে হয়েছে জহিরকে।
তবে বর্তমানে লখনউ ইতিমধ্যেই নতুন বোলিং কোচ হিসেবে ভরত অরুণকে নিয়োগ দিয়েছে। তাই জহিরের ইচ্ছা দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার।
লখনউ কর্তৃপক্ষ এখনো জহিরের কাজ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা, যিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে ব্যস্ত।
দেশে ফেরার পর জহিরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে।
নতুন মেন্টরের দায়িত্ব শুধু লখনউতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাঁকে দেখতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান সুপার জায়ান্টস এবং ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার অরিজিনালসকেও।
লখনউয়ের তরুণ বোলারদের, আকাশদীপ, আভেশ খান, মায়াঙ্ক যাদব, প্রিন্স যাদব, মোহসিন খান, আকাশ সিংহ, প্রশিক্ষণের দায়িত্ব এবার কেকেআরের সাবেক বোলিং কোচ ভরত অরুণের হাতে। লখনউয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভরত অরুণকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছি।
তিনি তরুণ প্রতিভা চিহ্নিত করবেন এবং ডারবান সুপার জায়ান্টসের বোলারদেরও কোচিং করবেন। আগামী মৌসুম থেকে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের সঙ্গে কাজও করবেন।’
এর আগে ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত জহির মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন, পরে ‘হেড অফ গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পান। গত আইপিএলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারায় এবং দলের সঙ্গে গুরুত্ব কমে যাওয়ায় জহির হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসএন