কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ৭ দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার

যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জি কে শামিমকে তার ৭ দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করে র‍্যাবের একটি দল। তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম থাকেন বনানীর ডিওএইচএসে। আর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনটি তিনি তার জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন।

জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহসম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ। সেই জি কে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক।

এর আগে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ৫৯ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: