লালগালিচায় করমর্দন, সৌজন্য কথাবার্তা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও ছবি তোলার পর ট্রাম্প ও পুতিন গাড়িতে ওঠার জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাম্প নিজের গাড়িতে ওঠার জন্য আহ্বান করেন। পুতিন ইতিবাচক ইশারা দেন এবং ঘুরে গিয়ে বাঁ দিকে ট্রাম্পের গাড়িতে ওঠেন।
আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটির টারমাকে ট্রাম্প ও পুতিনের জন্য আলাদা দুটি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। পুতিনের জন্য রাশিয়ার নিজস্ব কোম্পানির তৈরি ‘অরাস’ লিমোজিন। ট্রাম্পের গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের গাড়ি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আলাস্কায় বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্ষমতাধর দুই নেতাকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট অবতরণের পর থেকেই আলোচনা হচ্ছিল, তারা একই গাড়িতে বৈঠকের স্থানে যাবেন নাকি আলাদা যাবেন?
অবশেষে সব জল্পনা উড়িয়ে একই গাড়িতে চড়ে বসলেন ট্রাম্প-পুতিন।
বহুল প্রতিক্ষীত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা)।
সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধই এই সাক্ষাতের প্রধান লক্ষ্য।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়াবিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন। অপর পক্ষে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং রুশ প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
তৃতীয় ঘণ্টায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ইতোমধ্যে তৃতীয় ঘণ্টায় প্রবেশ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে বৈঠক সম্ভবত ভালোভাবে এগোচ্ছে।
আলাস্কার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা) শুরু হওয়া বৈঠকের বিরতিতে তাদের মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনো তা হয়নি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, বৈঠকের দুই-তিন মিনিটের মধ্যে তিনি পুতিনের মনোভাব বুঝতে পারবেন। যদি মনে হয়, আলোচনা প্রত্যাশিত দিকে এগোচ্ছে না, তাহলে তিনি বৈঠক থেকে বের হয়ে যাবেন।
ইউটি/টিএ