৩ বছর আগে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধ হতো না: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাত না। পূর্ব ইউরোপেও কোনো যুদ্ধ হতো না। তবে সে সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার কথা শোনেননি বলেই রাশিয়া বাধ্য হয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন পুতিন। এ সময় ট্রাম্প তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পুতিন বলেন, ২০২২ সালে আমি মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। খুব স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, পরিস্থিতিকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়, যেখান থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে এবং আর ঠেকানো যাবে না। আমি বলেছিলাম, বড় ভুল হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো, ব্যবসায়িক এবং বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমার বিশ্বাস, এই পথে এগোলে আমরা দ্রুত ইউক্রেন সমস্যার সমাধানে পৌঁছানো যাবে।

রাশিয়া এবং আমেরিকার সম্পর্ক অতীতে খুব একটা মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে পুতিন বলেন, এখন সম্পর্ক ‘মেরামত’ করা প্রয়োজন। ট্রাম্পের কথার ধরন ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ হওয়ায় তার সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা হয়েছে।

আলাস্কার বৈঠককে উভয় নেতা ‘ফলপ্রসূ’ ও ‘ইতিবাচক’ হিসেবে বর্ণনা করলেও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ট্রাম্প মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাকে পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে তিনি নিজেও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানান ট্রাম্প।

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর আমেরিকা তাদের উপর একাধিক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বাজারে এর পর খনিজ তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল মস্কো। তার পর থেকে ভারত তাদের থেকে কম দামে তেল কিনে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ভারতের তেল কেনার ফলে রাশিয়ার আর্থিক সুবিধা হচ্ছে এবং সেই অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। এর পরই আলাস্কায় পুতিন- ট্রাম্প বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কেএন/টিএ



Share this news on:

সর্বশেষ

img
শান্তিতে নোবেল ঘোষণা আজ Oct 10, 2025
img
ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

৩ ম্যাচ হেরে জটিল সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল আশা Oct 10, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করবে ইউক্রেন Oct 10, 2025
img
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Oct 10, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাবি শিক্ষকের, সহকর্মী আহত Oct 10, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঢাকায় Oct 10, 2025
img
দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহর লাহোর, ১০ম অবস্থানে ঢাকা Oct 10, 2025
img
শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ Oct 10, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জামায়াতের শীর্ষ ৫ নেতা Oct 10, 2025
img
জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন ফ্লোটিলার আলোচিত মুশতাক Oct 10, 2025
img
শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে Oct 10, 2025
img
ভূমিকম্পের পর ‘সুনামির’ আশঙ্কা করছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ Oct 10, 2025
img
হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইলি মন্ত্রিসভা Oct 10, 2025
img
প্রিয়তমা’র পরে শাকিব খানের কোনো সিনেমাই চলেনি : ইকবাল Oct 10, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল দিয়ে দেন, তিনি এটার প্রাপ্য: নেতানিয়াহু Oct 10, 2025
img
ফিলিপাইনে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Oct 10, 2025
img
শাপলা না দিলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Oct 10, 2025
img
সুদের হার কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের Oct 10, 2025
img
যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফিলিস্তিনি Oct 10, 2025