২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে অ্যান্টেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ইনজুরিতে পড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। এরপর তার আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। সর্বশেষ জুনের ফিফা উইন্ডোতে ফেরার কথা থাকলেও তাকে রাখেননি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। যার ব্যাখ্যায় তিনি তখনও পুরোপুরি ফিট নন বলে জানান। অবশেষে ২২ মাস পর জাতীয় দলে ফিরতে যাচ্ছেন নেইমার!
এক প্রতিবেদনে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ জানিয়েছে, কোচ কার্লো আনচেলত্তি সান্তোস স্ট্রাইকার নেইমারকে তার বিস্তৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যা ফিফার কাছে পাঠাবে সিবিএফ (ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন)। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা বর্তমানে ক্লাবের জার্সিতে ভালো অবস্থায় আছেন। ২৫ আগস্ট ব্রাজিল জাতীয় দলের আনুষ্ঠানিক স্কোয়াড ঘোষণায় থাকতে পারেন নেইমার।
কনমেবল বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে তিনে থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫। সমান ম্যাচ ও পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইকুয়েডর এবং ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সেপ্টেম্বরে বাকি দুটি রাউন্ডের ম্যাচ খেলে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হবে। যেখানে ৫ সেপ্টেম্বর রিও ডি জেনিরোয় চিলি এবং ১০ সেপ্টেম্বর শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার মাঠে তাদের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
আনচেলত্তির সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হয়েছিল নেইমারের, তবে তার অধীনে খেলার অপেক্ষায় আছেন এখনও
ওই দুই ম্যাচের জন্য ২৫ আগস্ট সেলেসাওদের স্কোয়াড ঘোষণা করবেন স্কালোনি। তার অধীনে ইতোমধ্যে ব্রাজিল দুটি বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছে। গত জুনে অনুষ্ঠিত সেসব ম্যাচের মধ্যে ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র এবং প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জেতে ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়ারা। অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য তারকারা যে আনচেলত্তির ব্রাজিল অধ্যায়ে জায়গা করে নেবেন তা সর্বশেষ দুই ম্যাচেই টের পাওয়া গিয়েছিল। নেইমারের মতো তারকাকেও ফিট থাকাবস্থায় হাতছাড়া করবেন না এই ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড।
এদিকে, ২০০২ সালের পর আর ফুটবল বিশ্বকাপে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া হয়নি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এমনকি সাম্প্রতিক আসরগুলোয়ও তাদের বিদায় হয়েছে হতাশা নিয়ে। তাই ২০২৬ বিশ্বকাপে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে নামতে চায় আনচেলত্তির দল। বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ ছাড়াও তারা বিশ্বকাপের আগে ৬টি প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ১০ অক্টোবর সিউলে স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া এবং ১৪ অক্টোবর টোকিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ জাপান।
এ ছাড়া ফিফার নভেম্বর উইন্ডোতে তারা আফ্রিকা এবং পরের বছরের মার্চে ইউরোপে প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাবে। যদিও সেখানে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কারা সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। এ ছাড়া ম্যাচগুলো কোথায় হবে তা নির্ভর করছে উভয়পক্ষের বাণিজ্যিক চুক্তির ওপর। সিবিএফ যখন ব্রাজিল দল নিয়ে এত পরিকল্পনা করছে, তখন তাদের সামনে আছে আরেকটি ফিফা উইন্ডো। সেটিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তেই ২০২৬ সালের জুনে ব্রাজিল আরও দুটি ম্যাচ খেলতে পারে। তার আগে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ড্র। সেখানকার গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ দেখে জুনে প্রীতি ম্যাচের দুটি প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু নিয়ে পরিকল্পনা করবে সিবিএফের টেকনিক্যাল কমিটি।
এফপি/ টিএ