দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য জলাশয় চিহ্নিত করার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।’

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ‘টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়’শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।’

৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীরা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

তারেক রহমানের দেশে আসতে ট্রাভেল পাস প্রসঙ্গ কেন! Dec 02, 2025
ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছে: জামায়াত আমির Dec 02, 2025
আইএসের ১৫টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করল মার্কিন-সিরীয় যৌথ বাহিনী Dec 02, 2025
বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের ২ বছরের কারাদণ্ডে তোলপাড় ব্রিটিশ মিডিয়ায় Dec 02, 2025
ধুরন্ধর লুকে রণবীর সিংয়ের প্রশংসায় দীপিকা Dec 02, 2025
অপুকে ব্যক্তিগত জীবনের কথা পেশাগত জায়গায় না আনার পরামর্শ, শাকিব খানের Dec 02, 2025
img
মেসিকে ইতিহাসের সেরা মানছেন লামিনে ইয়ামাল Dec 02, 2025
বিপিএলে ফিক্সিং রোধে প্রতিটি দলে ২ সিআইডি সদস্য Dec 02, 2025
img
তবে কি নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন ‘কাবিলা’ ? Dec 02, 2025
img
মাঝরাতে হঠাৎ ওসমান হাদির ফেসবুক পোস্ট Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়াই একমাত্র বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারেন : ফজলুর রহমান Dec 02, 2025
img
৭০ শতাংশ বাংলাদেশি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট : আইআরআই জরিপ Dec 02, 2025
img
কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প Dec 02, 2025
img
গত বিপিএলে ৫১১, তবুও সমালোচনা নাঈমকে নিয়ে! Dec 02, 2025
img
ভাগ্যের উপর ভরসা নয়, নিজের কাজে আস্থা কাজলের Dec 02, 2025
img
মধ্যরাতে বার্তা দিলেন আইন উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার ‘অনেক বেশি’ সংস্কার করে ফেলেছে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন Dec 02, 2025
img
ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার : আবিদুল ইসলাম আবিদ Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা : গয়েশ্বর Dec 01, 2025