বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জনগণের সরকারের নেতৃত্বে দেবে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। দলের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন এ্যানি। এর আগে তিনি নোয়াগাঁ বিএনপির প্রতিনিধি সভায়ও যোগ দেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় আজ ঐক্যবদ্ধ। তারেক জিয়ার কাছ থেকে মনোবল পাই, সাহস পাই ও হিম্মত পাই। এই হিম্মত মনোবল ও সাহসের কারণে আমরা বলতে পারি আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেখানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর এই জনগণের সরকারের নেতৃত্বে দেবে বিএনপি। তারেক রহমান খুবই শীঘ্রই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বে দেবেন।’
তারেক রহমান প্রসঙ্গে এ্যানি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (তারেক) বর্তমান যে রাজনীতির দরকার, জনগণের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে ও দেশের প্রয়োজনে এবং দলের প্রয়োজনে যে স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য সকল পরিকল্পনা করছেন, সে অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম বছরে কীভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন, ১৮ মাস বা এক বছরে কী করবেন সে পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারেক জিয়া। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা এবং স্বৈরাচারী চিন্তা-ধারা নিয়ে কতৃত্ববাদী শাসনে থাকবে না। সে চিন্তা থেকে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায় তৈরি, নতুন ধারা প্রস্তুত করার জন্য সবাইকে বারবার সজাগ করছেন তারেক জিয়া। প্রতিদিন তারেক রহমান যে কথাগুলো বলছেন এগুলো হলো এখনকার রাজনীতি। এর বাহিরে অন্য কিছু চিন্তা করি না। অন্য কিছু চিন্তা করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। তাই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাড়াঁবে।’
গণমানুষের দল হিসেবে বিএনপি সবসময় দেশের মানুষের পাশে ছিল ও থাকবে উল্লেখ করে এ্যানি বলেন, ‘বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারেনি। তারা একটি ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী শাসক, স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে একটি অরাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। হাসিনা কাউকে ছাড় দেয়নি। কারণ দেশ শাসন দেশের প্রতি তার ভালোবাসা, দেশের মানুষের প্রতি দরদ, এটা হাসিনা কখনো চিন্তা করেনি। হাসিনা এ বাংলাদেশে এসেছে তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
আর সে অনুযায়ী গত ১৭ বছর ধরে গুম, খুন ও নির্যাতন করে আসছিল ফ্যাসিষ্ট হাসিনা। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যান তিনি।’
প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, জেলা বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এল রহমান, জেলা বিএনপি সদস্য ভিপি আবদুর রহিম, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হক মজু, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জিএস মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমকে/টিএ